ভবানীপুরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বলেও তাঁর দাবি৷ এরকম পরিস্থিতিতে ভবানীপুরের মানুষ ভোট দিতে বের হতে পারবেন না বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি৷ তাই, অবিলম্বে ভবানীপুরের নির্বাচন বন্ধ রাখার আবেদন জানাবে রাজ্য বিজেপি৷ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন দিলীপ ঘোষ৷ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। সোমবার সকালে ভবানীপুরে বিজেপির প্রচারে উত্তেজনার ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন সকালে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দিলীপের সঙ্গীদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। আচমকাই তৃণমূল সমর্থকদের বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পোষা ভৃত্য সিআরপিএফের এক কর্মী। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই ঘটনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷ঘটনার বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করছি তাতে ভয় পাওয়ার কী আছে? টেনশন নেওয়ার কী আছে? আপনি মাঠেও আটকাতে পারবেন না, ভোটেও পারবেন না। সকালের অশান্তির ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিকালে ভবানীপুরের ভোট স্থগিত রাখার মতো হাস্যকর দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া শুধু ভোট স্থগিত রাখার দাবিই জানাননি, নির্বাচন কমিশনকেও এক হাত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি।