জন্মভূমি, কর্মভূমি, এখানে সবাইকে আমি চিনি। ভবানীপুরের শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে এমনই আবেগপূর্ণ মন্তব্য করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন:” আমি ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু এজেন্সি দিয়ে এমন ষড়যন্ত্র ভাবতেই পারিনি। গণনাতেও চুরি করেছে। আমি সবাইকে জিতিয়েছি। বিজেপির পরিকল্পনা ছিল প্রাণে মেরে দাও। ওকে হারাতেই হবে। সবাই বোঝাপড়া করবে, মমতা করবে না। তাই সর্বশক্তি দিয়ে হারাও। দিল্লিতে ভাত রুটি খেয়েছে এখানে লাড্ডু খেয়েছে। ওখানে লাঞ্চ করেছে, এখানে ব্রেকফার্স্ট করেছে। সিপিএমের বিরুদ্ধে কই সিবিআই লাগায়নি। সৌগত রায়, পার্থ চ্যাটার্জি কাউকে বাদ দেয়নি। আমার ফোন আমার ফোন সব পেগসাসে চলে গেছে। শুধু কথা বলা নয়, ছবিও তুলে নিচ্ছে। আমি অভিষেক আর পিকে কালীঘাটে বসে কথা বলছি, সেই ছবিও তুলে নিচ্ছে। সুইচ অফ থাকলেও স্ক্যান করে তুলে নিচ্ছে। এরা করতে পারেনা এমন কোনও কাজ নেই। ইজরায়েল থেকে মেশিন নিয়ে এসেছে।”
“কিন্তু টানা 4 মাস বৃষ্টি। ডিভিসি জল ছেড়ে দেয়। বিহার ঝাড়খণ্ডের জলও চলে আসে বাংলায়। এমন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, এমন বাজ পড়ছে। আগে এমন দেখা যায় নি। মুম্বই চেন্নাইতে জল জমলে কমে না। এখানে পানীয় জলের অভাব হয় না। এখানে লোডশেডিং হয় না। বাজ পড়ার সময় বাড়ির ইলেকট্রনিক বন্ধ রাখুন। বাইরে বেরিয়ে ইলেকট্রিকের তারে হাত দেবেন না। সাবধানতা অবলম্বন করুন। অসময়ে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই। আমাকে 6 মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতে হবে। শোভনদেব দা দাঁড়াবে খড়দায়। ১০০% টিকাকরণ হয়ে গেছে ভবানীপুরে। যাদের লান্সের সমস্যা আছে, পারলে আপনার বাড়ির পাশেই পিজিতে গিয়ে নিমোনিয়ার ইনজেকশন নিয়ে নেবেন। পিজি এখন দেশের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতাল। এখন রাজ্যের হাসপাতালগুলি কত পরিষ্কার। মেডিক্যাল কলেজ করে দিয়েছি রাজ্যে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হয়েছে।
আমরা সাড়ে ৫কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। আমার টার্গেট ১৪কোটি। বাচ্চাদের টিকা দিতে চাই। কলকাতায় ৮০% টিকা। তৃতীয় ঢেউ যাতে না আসে সে ব্যাপারে সচেতন। উত্তর প্রদেশ মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছে। মালদায় ভাসতে দেখে সম্মান দিয়ে। বাংলার কোনও মেয়ে রাস্তা দিয়ে গেলে কোনও গুন্ডা কিছু করতে পারে না। বাংলার ভাইয়েরা তা রক্ষা করে। কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। আমার বাড়ির সামনে ডেড বডি নিয়ে রাজনীতি করছে। আর আসামে nrc নামে খুন করেছে। মৃতদেহের উপর উঠে নাচ্ছে। আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তোমার বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে আসবো। ১০দিন খেতে পারবে না। আমারও মেশনারি আছে। হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। আমরা ওদের মতো বদমাশ নয়।
মা দুর্গাই আসতে পারবে না তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। ১৪৪ ধারা ত্রিপুরা।”
গ্যাসমন্ত্রী গ্যাস দিতে এদেশে। উজালা কোথায়? অসমে পুলিশ পিটিয়ে মারছে বাংলায় মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ভারতকে নোটবন্দির নামে ক্যাশ লেস করা যাবে না। নোটও থাকবে ডিজিটালও থাকবে। এমন কোনও প্রকল্প নেই, যা বাংলায় নেই। তাজপুরে আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর করছি। ১০০ বছর কয়লার অভাব হবে না। বিদ্যুতের অভাব হবে না। সমস্ত শিল্পপতিরা বাংলায় আসতে আগ্রহী। আমাকে অনেকে বলেন, একটু বিশ্রাম নিন। কিন্তু এখন আমরা সরকারে। দায়িত্ব কাজ অনেক বেশি। পুজোর সময় সারারাত জেগে থাকি। কোথাও কোনও সমস্যা হয়ে সমাধান করি। ভবানীপুর থেমে গেলে ভারত জয় করা যাবে না। ভবানীপুর থেমে গেলে উন্নয়ন থেমে যাবে। দেশকে আমরা তালিবানের হাতে দেবো না। আমরা ক্ষমতা চাই না, চাই যাতে দেশের স্বাধীনতা খর্ব না হয়। এই তালিবানিপন্থীদের হাতে দেশ সুরক্ষিত নয়। তাই বৃষ্টি হলেও ছাতা নিয়ে রেন কোর্ট পড়ে ভোট দিন। আজও দিল্লিতে কোর্টে গুন্ডামি করতে গিয়ে তিনজন মারা গিয়েছে। জেলে যাবো তবুও তোমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবো না, সাফ জানালেন মমতা। তিনটি কৃষক বিল বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কানেই নিচ্ছে না কেন্দ্র।বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন আছে? প্রশ্ন মমতার ”