প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক সদ্য নিযুক্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি কলকাতায় এসে জানিয়েছেন সামনে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলাফল করবে এবং নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা তার ফলে তিনি বিপুল সংখ্যক আসনে জয় যুক্ত হবেন। সাধারণ মানুষ তাঁর কাজে গুণমুগ্ধ এবং দিলীপ ঘোষের জায়গায় তিনি এসে দিলীপ ঘোষকে অনুসরণ করেই পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে তিনি তাঁর কাজ এগোতে চান বলে জানিয়েছেন।সংগঠনের হাল ধরতে চান নব নিযুক্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কলকাতা নেমে এমনটাই জানালেন বালুরঘাটের সাংসদ৷২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসনে জিতেছিলেন সুকান্ত । বিজেপির অন্দরে তাঁর পরিচিতি ছিল সংঘ ঘনিষ্ঠ বিনয়ী, কর্মঠ নেতা হিসেবে।
সেই বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারই কিনা এখন বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত ব্যক্তি। কারণ? দিলীপ ঘোষের জুতোয় পা গলাতে চলেছেন সুকান্ত। মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় এসে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে দিলীপদা অন্যতম সফল সভাপতি। দিলীপদা যেখানে শেষ করেছেন, তারপর থেকে সামনের দিকে এগোনো আমাদের কাজ। দিলীপদাও আছেন আমাদের সঙ্গে।ওঁর পরামর্শ তো নেবই। শুভেন্দু অধিকারীও আছেন। বিরোধী দলনেতা উনি। তাঁর পরামর্শ নিয়েই ভবিষ্যতে বিজেপি লড়বে। অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্বও রয়েছেন।’২০১৫ সালে দায়িত্ব লাভের পর তাঁর ছ’বছর পূর্ণ হচ্ছিল নভেম্বর মাসে। তাছাড়া একুশের ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল দিলীপের পদ নিয়ে। দলীয় কর্মীদের একাংশের মতে, দিলীপের অতি আক্রমণাত্মক মানসিকতার জন্যই হেরেছে বিজেপি। তাই তাঁরা দাবি করছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সভাপতিত্ব থেকে দিলীপের অপসারণের। তাই আরও বেশি করে মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার দু-মাস আগেই সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। অবশ্যই কেন্দ্রীয় পদ দিয়ে।