বয়স নব্বই ছুঁইছুঁই। কিন্তু তাতে কী! চশমা ছাড়াই নিয়ম করে পেপার পড়েন, নিউজ চ্যানেল দেখেন। আর তার মাধ্যমেই বাড়িতে বসেই করোনা, আম্ফান, ইয়াস কিমবা বন্যার নিয়মিত খবর রাখেন। এসব দেখে তাঁর মন কেঁদে ওঠে। কিন্তু বয়সের ভারে মাঠে নেমে কাজ করা আর সম্ভব হয়না। তাই এই দুঃসময়ে নিজের সঞ্চিত অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়ে মানবিকতার নজির গড়লেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থানার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব দাস। ইসিএলের রাণীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারির প্রাক্তন কর্মচারী জয়দেব বাবু দীর্ঘদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না করলেও এক সময়ে কংগ্রেসী শ্রমিক ইউনিয়ন করতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা, কর্মকান্ড ও সর্বোপরি তাঁর জনহিতকর পদক্ষেপে তিনি মুগ্ধ। তাই দীর্ঘদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন জয়দেব বাবু। সেই স্বপ্নেরই এবার বাস্তবায়ন ঘটল। সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে চেক মারফত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করেন জয়দেব বাবু। এতেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। ‘অন্ধজনে দেহ আলো’ করা র শপথ নিয়ে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন জয়দেব বাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ধ্যান, জ্ঞান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ তাঁকে আজও স্বপ্ন দেখায়। তাই জীবনের বাকিদিনগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আঁকড়ে ধরেই কাটাতে চান জয়দেব দাস।
নিজের সঞ্চিত অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়ে মানবিকতার নজির
শুক্রবার,২৭/০৮/২০২১
4661