রাজ্যের স্বাস্থ্য বিকাশে একাধিক নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। গড়ে উঠছে একাধিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেইসঙ্গে ১৩ হহাজারের বেশি আশা কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। ৩৪ বছরের বাম শাসন অবসানের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার বিশেষ নজর দেয় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। বাম আমলের বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বদলে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় একাধিক সুপার স্পেস্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। রাজ্যের সর্বত্রই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান সহ স্বাস্থ্য বিকাশে গড়ে তোলা হয় একাধিক প্রকল্প।
স্বাস্থ্য বিকাশে বাংলা: জেলায় জেলায় নতুন মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, বিনামূল্যে ওষুধে সরবরাহ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু, কমদামে ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্র – সারা দেশে মডেল, সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট জেলাতেও, নতুন স্বাস্থ্যজেলা স্থাপন, একাধিক নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন স্বাস্থ্যক্ষেত্রের আরও উন্নতিতে একাধিক নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে আরও ৪৬০০টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং তিন হাজারের বেশি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভায়। সেইসঙ্গে আরও ১৩ হাজারেরও বেশি আশাকর্মী নিয়োগ হতে চলেছে এরাজ্যে। এই পদে গত কয়েক বছরে শূন্যপদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দ্রুত নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে গ্রামবাংলায় ৫৩ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কর্মরত।
২০১২ তে শুরু হয় সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী আশা। সামাজিক স্বাস্থ্য কর্মী আশাতে তারাই নিয়োগের যোগ্য যারা বিবাহিত, বিধবা বা বিচ্ছিন্ন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলার প্রতিটি ঘরে। আর উন্নততর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে কোনরকম কার্পণ্য নেই সরকারেরর। এবিষয়ে, সিএমও দফতরের অভিমত, আমাদের উদ্দেশ্য হলো একটি সুপরিকল্পিত ও যথোচিত উপায়ে প্রতিবন্ধকতা গুলিকে চিহ্নিত করা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের সমস্যাগুলিকে অতিক্রম করা এবং রাজ্যের সর্বত্র উৎকৃষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ প্রসারিত করা। আরও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত তারই অঙ্গ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।