রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে “খেলা হবে” দিবস। সকাল থেকেই রাজ্যের সর্বত্র ফুটবল খেলায় মেতেছে আমবাঙালি। কলকাতা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলা হবে দিবস পালিত হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ক জনপ্রতিনিধিরা নেমে পড়েছেন খেলা হবে দিবস উদযাপনে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ আগস্ট দিনটিকে খেলা হবে দিবস হিসাবে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তার সূচনা হয়েছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে ফুটবল বিতরণ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের খেলাধুলার উন্নয়নে খেলা হবে দিবস পালিত হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজ্যের সর্বত্রই আজ “খেলা হবে” চলছে।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে “খেলা হবে” স্লোগান অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক স্লোগানে রাজ্যের পাহাড় থেকে সাগর সর্বত্রই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয় নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পরই ঘোষণা করেছিলেন “খেলা হবে” দিবস পালন করা হবে। নির্বাচনী এই স্লোগানকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়েই এই কর্মসূচি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এখন খেলা হবে দিবস বঙ্গে পালিত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে খেলা হবে দিবস পালন করা হলেও ভারতের অন্যান্য প্রদেশে তৃণমূল কংগ্রেস দিনটিকে পালন করছে। ত্রিপুরা উত্তরপ্রদেশ গুজরাট আসাম মনিপুর তামিলনাড়ু সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলা হবে দিবস পালন করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূলের এই খেলা হবে দিবস প্রতিহত করতে বিজেপি সর্বশক্তি নিয়ে আসরে নেমেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছে। খেলা হবে দিবসের আগের দিন থেকেই ত্রিপুরায় বিজেপির আক্রমণ চলছে তৃণমূলের উপর। মালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। ভারতের ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় তৃণমূলের খেলা হবে দিবস নেতৃত্ব দিচ্ছেন।