এবছর ২৮এ পা দিচ্ছে ২১ জুলাই শহিদ তর্পন অনুষ্ঠান। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এবারে ২১ ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে ভিন রাজ্যেও। করোনা পরিস্থিতির জেরে সমাবেশ হচ্ছে ভার্চুয়াল। তবে সেই ভার্চুয়াল সমাবেশ এক অন্য তাৎপর্য নিয়ে এবার হাজির হতে চলেছে আসমুদ্র হিমাচল।
বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয় হাসিল করে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পরে প্রথম একুশে জুলাই। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজ্যেও থাবা বসাতে মরিয়া ছিল। তাদের পরাস্ত করে তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ২০২৪ অর্থাৎ দিল্লি। একুশের মঞ্চ থেকে সেই বার্তায় দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো, এমনটাই মনে করছে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
বাংলার বাইরে একুশে দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে পালিত হবে শহীদ দিবস। হাজির থাকবেন সাংসদরা। নিজেরা বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ২ জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে লখনউ, মির্জাপুর, বেনারস, আজমগড়,বরেলিতে পালিত হবে ২১ জুলাই। মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বক্তৃতা শোনা হবে পার্টি অফিসে বসে। বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় হবে সাইকেল র্যালি। আগরতলা, কৈলাশ শহর, ধর্মনগর, উদয়পুর, আমবাসায় জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে বক্তৃতা। গুজরাটে মোট ৩২ জেলায় জায়ান্ট স্ক্রিনের আয়োজন। সেখানেই শোনানো হবে মমতার বক্তৃতা।
আসামের গুয়াহাটি ও শিলচরে পালিত হবে ২১ জুলাই। বিহার, ঝাড়খন্ডেও পালিত হতে চলেছে ২১ জুলাই। কালীঘাট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ২ টা নাগাদ বক্তব্য রাখবেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা হাজির থাকবেন। রাজ্যের প্রতিটা বিধানসভা কেন্দ্রে ২১এর সভা হবে। বিধায়ক, কাউন্সিলর সহ নেতারা থাকবেন। দুপুর একটা থেকে হবে সমাবেশ। পরে জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে নেত্রীর ভাষণ। ১৯৯৩-এর ‘নো আইডেন্টিটি, নো ভোট’ এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে মহাকরণ অভিযান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রদেশ যুব কংগ্রেস। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন তরতাজা যুবক। শহিদের স্মৃতি তর্পণে ১৯৯৪ থেকেই শুরু হয় একুশে জুলাইয়ের জনসমাবেশ। এবছর ভার্চুয়াল মুডে হলেও একুশের আঙ্গিক আরও বৃহৎ, আরও বিস্তৃত।