প্রাচী বাঁচাতে রিটেল আউটলেট


মঙ্গলবার,১৩/০৭/২০২১
1447

হাতে হাতে মোবাইল। ইচ্ছে করলেই মুঠো ফোনে পছন্দের সিনেমা। সিনেমা হলে বিমুখ আমবাঙালি। এর ওপর লকডাউন। চরম লোকসানের মুখে হল ব্যাববসায়ীরা। উত্তর কলকাতার অনেক নস্ট্যালজিয়ার সাক্ষী প্রাচী সিনেমা হল। আপাতত লকডাউনের জন্য বন্ধ। তবে নতুন রূপে আসতে এই প্রেক্ষাগৃহ। সিনেমােহল প্রাঙ্গণে তৈরি হচ্ছে রিটেল আউটলেট। সিঙ্গেল স্ক্রিনের জাদু ধরে রাখতে নতুন প্রচেষ্টা প্রাচীর কর্ণধারের। করোনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত শিল্প। বাদ পড়েনি বিনোদন জগৎও। সিনেমাহলের দরজায় তালা, কপালে ভাঁজ, হল মালিকদের। বিদ্যুৎ-র খরচ, কর্মচারীদের বেতন, কেমনভাবে যোগান দেবেন তাঁরা? নাজেহাল অবস্থা হল মালিকদের। এমন সময় প্রাচী সিনেমার কর্ণধার, বিদিশা বসু ভাবলেন এক অন্য বিজনেস মডেল। প্রাচী সিনেমা প্রাঙ্গণে তৈরি হচ্ছে, একটি জামা কাপড়ের আউটলেট। কোনও মাল্টিপ্লেক্স কিংবা শপিং মলের কাছে বিক্রি না করে, বিদিশা নিজেদের পারিবারিক ব্যবসাটি বাঁচাতে চান। তাই নতুন করে প্রাচী সাজিয়ে তুলেছেন তিনি, সঙ্গে থাকছে রিটেইল আউটলেট। তবে বিক্রি বা ভাড়া দিচ্ছেন না বিদিশা।

একতলা পুরোটাই, ও কিছুটা অংশ জুড়ে হচ্ছে শোরুম। যার ফলে আগের তুলনায় আসন সংখ্যা কিছুটা কমে যাবে। কিন্তু বেঁচে থাকবে ব্যবসা। ১৯৪৮ সালে জিতেন্দ্রনাথ বসুর হাত ধরে শুরু হয়েছিল প্রাচী সিনেমা হল। জন্মাষ্টমীর দিনে এই হলের সূচনা করেন জিতেন বসু। তারপর ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে দীপেন্দ্রনাথ বসু। বেশিদিন এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। জিতেন বসু বেঁচে থাকতেই ছেলের মৃত্যু হয় তাঁর। ব্যবসার হাল ধরেন নাতনি বিদিশা। মাল্টিপ্লেক্সের আরাম, ott র চোখরাঙানি এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই প্রাচীতে নানা পরিবর্তন এনে হলটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন বিদিশা।  আগে শুধু বাংলা ছবি দেখানো হতো। সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য এই হলে চালু করা হয় হিন্দি এবং ইংরেজি ছবি দেখানোও। স্ক্রিন থ্রিডি ছবি দেখানোর উপযোগীও করে তুলেছেন তিনি। ২৫শে জুন থেকে শুরু হয়েছে রেনোভেশনের কাজ। মোটামুটি আরও দিন সাতেকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বাকি কাজ। ঐতিহ্যের সঙ্গে সমঝোতা নয়, তবে ব্যবসা চালাতে প্রয়োজন অর্থ। দুটোরই মেলবন্ধন ঘটাতে চাইছেন প্রাচীর কর্ণধার।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট