হাওড়া,আমতা: ভোর হলেই মানস বাবুর চোখে ভেসে ওঠে বুলি,পিয়ালের কথা। সঙ্গে অবশ্য পেটের দায় রয়েছে।খুলতে হবে চায়ের দোকানটি।না হলে চড়বে না হাঁড়ি। কিন্তু এর আগে দুধ গরম করে তার কিছুটা অংশ ঠান্ডা করে তুলে রাখতে হবে বুলি,পিয়াল,তিতিদের জন্য। এরপর চা তৈরী করে খরিদ্দারদের পরিবেশন।এটাই রোজ নামচা হাওড়ার জয়পুরের খালনার মানস চক্রবর্তী র। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো কেউ অর্থাৎ কোনো পাখি মানসবাবু নিজে হাতে না দিলে খায় না।সে হাঁড়িচাচা ই হোক কিংবা ফিঙে। সবাই একে একে এসে সকালে দুধ ,বেলায় বিস্কুট আর সন্ধ্যায় বিস্কুট খেয়ে ঘরে ফেরে। খরিদ্দারের ভিড় থাকলে ও ওরা বসেই থাকে।মানস বাবুর কড়া নিদান-“ওদের বিরক্ত করলে চা পাবেন না। বরং ওদের দেখে খুশি হন”। মানসবাবুর এ হেন কাজে খুশি তার পরিবার পরিজন থেকে সকলেই।মানস বাবুর মানসপটে এমন প্রেম ছিল তা কে জানতো ?যদি ওরা না থাকতো?
ভোর হলেই মানস বাবুর চোখে ভেসে ওঠে বুলি,পিয়ালের কথা
বৃহস্পতিবার,০৮/০৭/২০২১
1772