বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে


বুধবার,৩০/০৬/২০২১
870

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে সরকার ‘কঠোর অবস্থানে’ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ওই দিন থেকে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে সচিব বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’কে মাঠে রাখা হবে। ২৮ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। ওই বৈঠকেই ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া কঠোর বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত খুব স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা, খুবই স্ট্রিক্ট ভিউতে। এই সাতদিন কোনো ধরনের গণপরিবহন চলতে পারবে না। দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। থাকবে না মুভমেন্ট পাস। ফলে কেউ চাই

লেও ঘর থেকে বাইরে কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। যারা ইমারজেন্সি তারা সব সময় বের হতে পারবে। মুভমেন্ট পাস না থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে কেউ কীভাবে বের হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। কিন্তু ধরেন দাফন-কাফন করতে হবে, সেটা তো বাসায় করা যাবে না; সে সময় বের হওয়া যাবে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন, সেক্ষেত্রে বের হতে পারবেন।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চারটি বিভাগের সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্স করে পর্যালোচনা করে দেখেছি। মাঠ পর্যায়ের সবাই ছিলেন, কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিলসার্জন, জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। সবার বক্তব্য, দেশের একটা অংশ ওরেঞ্জ, রেড বা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে। সুতরায়ং এখন স্ট্রিক্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই। কিছু বাস্তব কারণের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। লকডাউনের মধ্যে দরিদ্রদের কী হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গতবারের মতো গ্রোগ্রাম নিতে হবে।

বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেখানে খেয়াল রেখে যেন সাহায্য নিশ্চিত করা হয়।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘১ জুলাই থেকে স্ট্রিক্ট রেসট্রিকশনে যাচ্ছি। বাস্তবায়ন কৌশল এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। আগামীকাল বা পরশু বসে নির্ধারণ করব। আর্মি, বিজিবি, ব্যাটেলিয়ান পুলিশ টহলে থাকবে। তাদেরকে যতটুকু সম্ভব যা দরকার সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাদের অথরিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই মানুষ বের হতে না পারে, তা মনিটর করবে।’ সশস্ত্র বাহিনী টহল দেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কথা না শুনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া তাদের কাজের মধ্যে থাকবে। রিকসা চলবে কিনা, আদেশে বলে দেওয়া হবে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ক্ষেত্রে দেখেছি, সেখানে লকডাউন দেওয়ার কারণে সংক্রমণ অনেক কমেছে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট