বাংলাদেশের জনগণকে গিনিপিগ হতে দেননি প্রধানমন্ত্রী : স্বাস্থ্যের ডিজি


বুধবার,৩০/০৬/২০২১
867

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: বাংলাদেশের জনগণের ওপর করোনাভাইরাস টিকার ট্রায়াল করতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল অনেক দেশ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে গিনিপিগ হতে দিতে চাননি। যে কারণে সরাসরি এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশগুলো এখন টিকা দিতে চাচ্ছে না। ২৯ জুন সোমবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনা টিকার মান যাচাইয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের শরীরে প্রয়োগের মাধ্যমে ট্রায়াল করার প্রস্তাব দিয়েছিল কয়েকটি দেশ। এ ধরনের প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “টিকার মান ভালো না খারাপ, তা ট্রায়ালের জন্য আমার দেশের মানুষকে গিনিপিগ হতে দেব না।” এতে ওই সব দেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে। এ কারণে করোনা টিকা দিতে চায় না তারা। করোনা টিকার মান যাচাইয়ের অংশ হিসেবে কোন কোন দেশ প্রস্তাব দিয়েছিল জানতে চাইলে তার বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

তবে টিকার ‘সংকট হবে না’ বিষয়টিতে আশাবাদী ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত টিকার কোনো সমস্যা হবে না। এ মাস তো শেষই হয়ে এল, আগামী মাসের শুরুতেই ১০ লাখ ডোজ টিকা আসবে দেশে। টিকা প্রয়োগে বিদেশগামীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানান তিনি। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে যত মানুষ মারা গেলেন, সে তুলনায় তিন গুণ মারা গেছেন যক্ষ্মা রোগে। তবে করোনা থেকে সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার কথা বলেছেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২০’ প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ক অনুষ্ঠানটি হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট