ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি কার্যক্রম সমন্বয় করতে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। এতে রাজনীতিবিদের কর্তৃত্ব ম্লান হয়েছে। এমন দায়িত্ব পাওয়ার পরও অনেক সচিব সংশ্লিষ্ট জেলায় যাননি বলে উল্লেখ করেন এই এমপি। ২৯ জুন সোমবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তোফায়েল। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা এই জাতীয় সংসদের সদস্য, এমন একজনও নেই যিনি এই করোনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে বা যেভাবেই হোক গরিব–দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াননি। সবাই দাঁড়িয়েছে। আমি আমার নিজের এলাকায় ৪০ হাজার মানুষকে রিলিফ দিয়েছি। কিন্তু এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। অথচ প্রশাসনিক যারা কর্মকর্তা, তারা কিন্তু যায়ইনি। এটা কিন্তু ঠিক না। একটা রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনীতিবিদদের যে কর্তৃত্ব কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’ আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা মনে করেন, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান যেখানে আছে সেখানে থাকা উচিত। আমাদের জেলায় একজন সচিব যাবেন। তাকে গ্রহণ করব, বরণ করে নেব এটা ঠিক আছে।
কিন্তু যারা একদিনের জন্যও যান না। তিনি আরও বলেন, ‘যারা রাজনীতিবিদ, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান যেখানে আছে, সেখানে তাদের থাকা উচিত। কারণ আমাদের জেলায় একজন সচিব যাবেন। আমরা তাকে বরণ করে নেব, ঠিক আছে। কিন্তু তারা যান না। একদিনের জন্য তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। তখন মন্ত্রীরা জেলার দায়িত্ব পালন করতেন। সেখানে গেলে কর্মীরা আসত। মন্ত্রীরা গ্রামে গঞ্জে যেতেন। কোথায় যেন সে দিনগুলো হারিয়ে গেছে।’ সংসদের আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের একটি মন্তব্য নিয়েও কথা বলেন তোফায়েল। তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ফেরাউনের সময়ও আমলা ছিল। এসব কথাবার্তা মানুষ পছন্দ করে না। এমপিদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স, দি এমপিস আর এভাব দ্য সেমিট্রিস। এই জিনিসটা খেয়াল করতে হবে। এ সময় জিয়াউর রহমানের বিষয়টি নিয়ে ভোলা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দেবেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজটা করেছেন এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’ সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদের ব্ক্তব্যে সহমত প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে কোনো রাজনীতি নেই।
তোফায়েল আহমেদ যথার্থ বলেছেন। দেশে কোনো রাজনীতি নেই। রাজনীতি শূন্য, কোথাও রাজনীতি নেই। প্রত্যেকটা জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সচিবদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের সাথে কথা বলেন। আর এমপি সাহেবরা পাশাপাশি বসে থাকেন, দূরে। তারপর বলে ডিসি সাব, আমি একটু কথা বলব প্রধানমন্ত্রীর সাথে। এই হচ্ছে রাজনীতিবিদদের অবস্থা।’ ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছে। দেশ চালাচ্ছে কারা? দেশ চালাচ্ছেন জগৎশেঠরা। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদরা এখন তৃতীয় লাইনে দাড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। অথছ এই দেশ স্বাধীন করেছে রাজনীতিবিদেরা। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর বা মেট্রো রেল করা হলেও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া জনগণ এটার সুফল পাবে না। রাজনীতিবিদ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট থাকে না। বাতাস যেদিকে তারা সেদিকে ছাতা ধরে। ক্ষমতায় আমরাও ছিলাম, তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে এক দৃঢ় বার্তা—দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তির প্রশ্নে কোনওরকম…
পহেলগাঁও-এর বৈসরন উপত্যকা, যাকে অনেকেই "মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড" বলে ডাকেন, তার সৌন্দর্য যেমন মন কাড়ে, তেমনি…
কাশ্মীর: ফের উত্তপ্ত পহেলগাঁও। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক আকস্মিক হামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উপত্যকায়।…
কলকাতা: আবারও চর্চার কেন্দ্রে উঠে এল বিধায়কদের ‘মেডিক্যাল বিল’। মুর্শিদাবাদের এক তৃণমূল বিধায়ক, যিনি তিনবার…
কলকাতা: অবশেষে ৪০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান সিধার্থ মজুমদার।…
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি যে জঙ্গি হামলা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এক ছবি সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যম…