বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু ফেঁসে গেছে। তাই শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়চ্ছেন। এদিকে বিজেপির ও মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি বুঝেছে এরাজ্যে সরর্কার পালটি করতে গেলে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী কে দলে নিলে বা তার ওপর নির্ভর করলেই হয় না। তাই শুভেন্দু অধিকারী বারবার দিল্লি দৌড়ে সেখানে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা দের সঙ্গে দেখা করে, যে ধরনের কথা তারা শুনতে পছন্দ করেন, সে ধরনের কথা তাদের কে বলছে শুভেন্দু। এরাজ্যে 356 ধারা প্রয়োগ, রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা সহ বিজেপি নেতাদের পছন্দের কথা বলে তাদের প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। ঘনঘন দিল্লি গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দরবার করা প্রসঙ্গে এমনই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
যে বা যারা কোন মহের বসে বা কোন বড় কিছুর বিষয়ের লখখে বিজেপিতে গিয়েছিল তাদের দেরিতে হলেও মোহভঙ্গ হয়েছে। এটা শুভ লক্ষণ। যারা বিজেপিতে গিয়েছিল তারা এখন বুঝতে পারছে, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আছেন থাকবেন। বিজেপিতে থাকা অবস্থাতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তদের বেসুরো মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ফিরহাদ।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদাসীনতার কারণে দিন দিন যেভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তাতে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে , আগামী দিনে মানুষ ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে বাজার করতে যাবে আর ঠোঙ্গায় করে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখনই কেন্দ্রীয় সরকার যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে রাজ্য সরকারের পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রাইভেট পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে, আর এর ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এই উদ্বেগের কথা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হচ্ছে বলেও এদিন জানালেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।