ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনা মহামারিতেও প্রবাসী যোদ্বাদের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এবারও দুটি সুখবর দিয়েছে সরকার। বাজেটে রেমিটেন্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১ হাজার টাকায় রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন ২০ টাকা। এ ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের বিমা সুবিধার আওতায় আনা হবে। এটি দেশের ৫০তম বাজেট। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিলো ১৯৭২-৭৩, যা পেশ করেন তাজউদ্দীন আহমদ, ৭৮৬ কোটি টাকা। সবশেষ ৫০ তম বাজেট ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা আজ উপস্থাপন করবেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাস আয় এসেছে ২২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৪৯ দশমিক এক শতাংশ। এ কারণে রেমিটেন্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাস আয় প্রবাহ বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ কর্তৃক বিশেষ ‘প্যাকেজ কর্মসূচি’ চালুর উদ্যগ গ্রহণ করা হবে।
বাজেট বক্তৃতায় আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন প্রবাসীদের আয়ে এ অভাবনীয় সাফল্য আমাদেরকে স্বস্তির মধ্যে রেখেছে। এছাড়াও বক্তৃতায় বলা হয়, রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের ওপর আগামী অর্থবছর হতে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯টি বাজেট উত্থাপন করেছেন ১২ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি, ৯ জন অর্থমন্ত্রী ও দুজন অর্থ উপদেষ্টা। ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১২টি করে বাজেট উত্থাপন করেছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের হয়ে রেকর্ড টানা ১০টি বাজেট উপস্থাপন করেন।