নারদ মামলায় প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের আইনজীবী


মঙ্গলবার,০১/০৬/২০২১
989

পশ্চিমবঙ্গে নয়, নারদ মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিক আদালত। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে এই দাবিতে টানা সওয়াল করেন সিবিআই পক্ষের আইনজীবী তথা কেন্দ্রীয় সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা। আর এই দাবির পক্ষে যুক্তি খাড়া করতে গিয়ে পদে পদে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

ওই দিন সিবিআই অফিস এবং আদালতের বাইরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তা শুধু তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করেনি। বরং বিচার প্রক্রিয়ার উপরও প্রভাব ফেলেছিল।’’ তুষার মেহতা ( সিবিআই আইনজীবী) ওই দিন চার্জশিট কি ভার্চুয়ালি জমা দিয়েছিলেন বিশেষ আদালতে?’’, প্রশ্ন বিচারপতি সৌমেন সেনের। জবাবে মেহতা বলেন, সিবিআই অফিসারদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তাই তাঁরা ওই দিন সন্ধ্যায় সশরীরে জমা দিয়ে আসে। তুষার মেহতা ( সিবিআইয়ের আইনজীবী) এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা বারবার হয়। তদন্ত সংস্থা কোনও বড় রাজনৈতিক বিষয়ে জড়িত থাকলেই এ রকম হয়। আগেও হয়েছে।

বিচারপতি অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়: যে ঘটনা বলছেন সেখানে কি গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত জামিনের আর্জি করেছিলেন? বিচারপতি সৌমেন সেন: এই ঘটনাগুলোয় কাজে বাধা দেওয়ার জন্য সিবিআই কি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল? একজন অভিযুক্তকে যখন আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে, তখন আপনার করা অভিযোগগুলোর কী সম্পর্ক? বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়: সাধারণ মানুষের উপর গোটা ঘটনা প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই অভিযুক্তরা যদি জড়িত না থাকেন তাহলে কেন তাঁরা ভুক্তভোগী হবেন? উচ্চতর বেঞ্চের বিচারপতিদের উদ্দেশে তুষার মেহতা মন্তব্য করেন, বিচার বলে বিচারপতিকে শুধু নিরপেক্ষ হলেই হবে না, তাঁকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতেও দেখতে হবে। উচ্চতর বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মেহতাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আমাদের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ দেখানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কী ভাবে বিচার প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলেছে সেটা বলুন। ফের বুধবার এই মামলার শুনানি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট