সুপ্রিমকোর্টের পর হাইকোর্টেও মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের। নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সেই বিরোধিতাকে নস্যাৎ করে আদালত ৪ নেতা-মন্ত্রীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে। নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সেই বিরোধিতাকে নস্যাৎ করে আদালত ৪ নেতা-মন্ত্রীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।
আর গৃহবন্দি থাকতে হবে না। নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীরই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টে। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি শর্ত দিয়েছে আদালত। জানিয়ে দিয়েছে, নারদ মামলা নিয়ে চার নেতা-মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না। কোনও তথ্য-প্রমাণ বিকৃতও করতে পারবেন না।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় এই মামলা। শুনানি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এক বিচারপতি। তিনি জানতে চান, সিবিআইয়ের ই-মেলের ভিত্তিতে কি শুনানি করা যায়? ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রস্তাব দেন চার নেতা-মন্ত্রীকে শর্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার। বিচারপতিরা এই ব্যাপারে সলিসিটর জেনারেলের মতামত জানতে চান। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি দাবি করেন চার নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁরা জামিন পেলে সাধারণ মানুষের আবেগকে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। একইসঙ্গে মূল বিষয়টিও ঠাণ্ডা ঘরে চলে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দল সলিসিটর জেনারেলকে আশ্বস্ত করে জানান, মোটেও ঠান্ডা হয়ে যাবে না। তাঁরা মূল বিষয়টিও শুনবেন। সলিসিটর জেনারেলকে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান, তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। তাহলে, এতদিন সিবিআই ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেনি কেন? আগেও তো এঁরা প্রভাবশালীই ছিলেন। তবে এখন চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হল কেন? তিনি জানান, বিপর্যয়ের সময় মানুষের জন্য তাঁদের কাজ করা দরকার। এতদিন যখন গ্রেফতার করা হয়নি। এখন গৃহবন্দি করে রাখার মানে হয় না। এরপরই চার নেতা মন্ত্রীর জামিনের আবেদন শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করে আদলত।