নারদ মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টেরই এক বিচারপতি। তিনি জানতে চাইলেন, সিবিআইয়ের ই-মেলের ভিত্তিতে কি শুনানি করা যায়? নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীর শুনানি শুরু। শুনানি হচ্ছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘‘আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক কিছু শর্তের বিনিময়ে।’’ আপনার কি বলতে চান মেহতা? কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, ‘‘আমি নিবেদন করছি জামিন দেবেন না।’’ মেহতার কথায়, ‘‘৪ নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন হলে মানুষের ভাবাবেগকে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।’’ তাছাড়া জামিন হলে ‘‘মূল বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে’’ বলেও বেঞ্চকে জানালেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দল আশ্বস্ত করলেন, ‘‘না। আমরা মূল বিষয়টিও শুনব। ঠান্ডা ঘরে যাবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন’’
তারপরও মেহতার আর্জি, ‘‘নখ কাটতে তলোয়ার ব্যবহার করবেন না। এখানে ৫টি তলোয়ার রয়েছে’’ সলিসিটর জেনারেলকে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের একটি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। এতদিন সিবিআই ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেনি কেন। সাধারণত তদন্তের স্বার্থেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। আগেও তো এঁরা প্রভাবশালীই ছিলেন। তবে এখন চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হল কেন?’’
বিপর্যয়ের সময় মানুষ জন্য তাঁদের কাজ করা দরকার। এতদিন যখন গ্রেফতার করা হয়নি। এখন গৃহবন্দি করে রাখার মানে হয় না। বললেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বিপর্যয়ের সময় মানুষ জন্য তাঁদের কাজ করা দরকার। এতদিন যখন গ্রেফতার করা হয়নি। এখন গৃহবন্দি করে রাখার মানে হয় না। বললেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায় নেতা-মন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর। ৫ বিচারপতিই জামিনের পক্ষে মত দিয়েছেন। আপাতত আলোচনা চলছে জামিনের শর্ত নিয়ে। জামিন নিয়ে একাধিক শর্ত আরেপা করার আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বলেছিলেন, অভিযুক্তরা এই মামলা নিয়ে মিডিয়া বাইট দিতে পারবেন না। তদন্তের জন্য বা কোর্টে প্রয়োজন অনুযায়ী হাজির হতে হবে। তাঁরা কোনও জমায়েত করতে পারবেন না।