“নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথ রাজনীতির স্বার্থে ভারত বর্ষ টাকে শ্মশান বানাতে চাইছে” – ফিরহাদ হাকিম


বৃহস্পতিবার,১৩/০৫/২০২১
979

নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথ রাজনীতির স্বার্থে ভারত বর্ষ টাকে শ্মশান বানাতে চাইছে। এটা কখনোই দেশের মানুষের কাছে কাম্য নয়। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে করোনা সংক্রামিত মৃত ব্যক্তির শবদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ আরো বলেন ” করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি শবদেহ গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার ফল স্বরূপ গঙ্গার জলজ প্রাণী এবং গঙ্গার জল পরিশোধন করে যে সমস্ত এলাকায় মানুষজন পান করে থাকেন তাদের শরীরে কি কি ধরনের সংক্রমণ হতে পারে সে বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। শুধুমাত্র দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজন এর রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নানান ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে চলেছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। রাজনীতির স্বার্থের কথা না ভেবে যখন করোনা সংক্রমনের হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাবার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করাটাই সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত, সেখানে তা করা হচ্ছে না।ধর্মীয় বিভাজন এর রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষই যদি সংক্রমিত হয়ে মারা যায়, দেশটাই যদি শ্মশানে পরিণত হয়, তবে রাজনীতি করবে কে ? ধর্মই বা করবে কে ? এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ মানুষের উদ্বেগকে আরো বৃদ্ধি করেছে। এটা মানবতা বিরোধী কাজ। এটা কখনোই কাম্য নয় বলেও জানান তিনি।

পাশাপাশি এদিন ভোট পর্ব চলাকালীন শীতলকুচি তে নিহত মানুষজনের পরিবারের কাছে রাজ্যপালের যাওয়া কেও কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। ফিরহাদ এর মতে এই রকম পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের শীতলকুচি যাওয়ার অর্থ সেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জমির ব্যবস্থা করে দেবে বলে যে উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে। আসলে ওরা ভ্যাকসিনের বদলে গরুর গোবর ও মূত্র পান করিয়ে গায়ে মাখিয়ে ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চাইছে। আর এটা করিয়ে মানুষকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে,, বলেও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন ফিরহাদ

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট