প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তবে দৈনন্দিন জীবনযাপনে বাজার করতে হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু করোনার সময়ে বাজার করতে গিয়ে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।সবার প্রথমে আপনি যখন বাজার থেকে ফল ও সবজি কিনে আনবেন, তখন তাকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। অনেকে জীবাণুমুক্ত করতে তা দু-একদিন বাড়ির কোণে ফেলে রাখেন আবার অনেকে শাকসবজি গরম জলে ধুয়ে তা খাওয়ার যোগ্য করে তোলেন। তবে এই বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ফল ও শাকসবজি কীভাবে জীবাণুমক্ত করা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. বাজার থেকে সবজি বা ফল কিনে আনার পরেই টেবিলে রেখে দেবেন না কিংবা মেঝেতে রাখবেন না। একদম রান্নাঘরে নিয়ে যান। সিঙ্কে রাখুন। একবার ঠাণ্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর জল গরম করে নিন। সেই গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে শুধুই যে আপনার সবজি জীবাণুমুক্ত হবে তাই নয়, সবজিতে যে রং বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তাও চলে যাবে।
২. মাটির তলার সবজির ক্ষেত্রে আপনাকে আরো সতর্ক হতে হবে। যেমন আলু, গাজর, আদা, পেঁয়াজ ও রসুন কেনার পর আরো সতর্কতার সঙ্গে এগুলো জীবাণুমুক্ত করবেন। পেঁয়াজ ও রসুন বাদে অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে তা ভালো করে ধুয়ে নেবেন। ধুলো ও মাটি লেগে থাকলে তা ধুয়ে যাবে।
৩. একটি বড় পাত্রে গরম জল করে নিন। এর মধ্যে লবণ মিশান। তবে জল ফুটিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপর এই সবজিগুলো ভিজিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ ও রসুন ধুয়ে রাখলে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো কোনো কাগজের ঠোঙায় রেখে দিন। রান্না করার আগে আপনি এগুলো গরম জল দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
৪. বাজার থেকে শাক কিনে নিয়ে এলে সেই শাককেও পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। তার জন্য একটি বাটিতে জল নিন। সামান্য গরম করে নেবেন। তার মধ্যেই মিশিয়ে দেবেন, বেকিং সোডা। সেই জলে শাক ভিজিয়ে রাখবেন। এতে আপনার শাক জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হবে।
৫. সবজি কখনও কাগজ পেতে টেবিল বা মেঝের ওপর রেখে দেবেন না। প্রথমেই সেই সবজি ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ফ্রিজে তুলে রাখবেন।
৬. সবজি বা ফলে কখনও স্যানিটাইজার লাগাবেন না বা জীবাণুনাশক স্প্রে করবেন না। কারণ স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক স্প্রে তে যে রাসায়নিক থাকে তা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।