বর্তমানে দেশের আইটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বিলিয়ন ডলারের একটি আইটি বাজার। যেখানে উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এসইও, এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং এমনকি ডাটা এন্ট্রির মত সাধারণ কাজ। মূলত ইচ্ছামত যে কোন সময়, যে কোন স্থানে বসে কাজ করার সুবিধা থাকায় যে কেও আউটসোর্সিং করে আয় করতে পারে। একজন ছাত্র তার পড়াশোনার পাশাপাশি, একজন চাকুরিজীবি তার চাকুরির পাশাপাশি, এমনকি একজন গৃহিনীও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়ার জন্য অনেক নির্ভরযোগ্য সাইট রয়েছে। যাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং-মার্কেটপ্লেস বলা হয়। এসব সাইটে যারা কাজ জমা দেয়, তাদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা কাজটি করে দেয় তাদেরকে বলে Freelancer. একটি কাজের জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সার bid বা আবেদন করে। কাজটি কে কত ডলারে করতে পারবে তা উল্লেখ করে। এদের মধ্যে হতে ক্লায়েন্ট এক বা একাধিক ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচিত করেন। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ, পূর্ববর্তী কাজের sample কাজ পেতে সাহায্য করে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসসমূহের নাম:
১. আপওয়ার্ক.কম (ওডেস্ক)
২. ইল্যান্স.কম
৩. ফাইভার.কম
৪. গ্রাফিকরিভার.নেট
৫. থিমফরেষ্ট.নেট
৬. পিপলপারআওয়ার.কম
৭. ফ্রিল্যান্সার.কম
আপওয়ার্ক (ওডেস্ক) সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম সহজে কাজ পাওয়ার জন্য, কারণ প্রতি মূহুর্তে এ সাইটে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়াররা কাজ পোষ্ট করছে। চমৎকার একটি প্রোফাইল ও বিশেষ কাজের দক্ষতা থাকলে নুতনরা সহজে এ সাইটে কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এছাড়া, ফাইভার একটি ভিন্নধারার বিখ্যাত জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে নুতনরা সহজে ও দ্রুত কাজ পেতে পারেন।
পেমেন্ট পদ্ধতি
পেওনিয়ার ডেবিট মাষ্টার কার্ড, ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার, মানিবুকার্স , পেপ্যাল ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে খুব সহজেই উপার্জিত অর্থ দেশে নিয়ে আসা যায়।