হজম শক্তি বাড়ানোর সহজ উপায়:
হজমের সমস্যায় কমবেশি সবারই হয়। অনুষ্ঠান বা নিজের বাড়িতে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খাবার খেয়ে মাঝে মধ্যেই বিপাকে পড়ে যান ভোজনরসিকরা। মজার মজার খাবার দেখে লোভ সামলাতে পারেন না, কিন্তু ঠিকই তার মাসুল গুনতে হয়। পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাসের সমস্যা হওয়া, পেট ব্যথা, বুক ব্যথা, টক ঢেকুরসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এসব সমস্যা এড়াতে দরকার সামান্য সচেতনতা। তা হজম শক্তি বাড়াতে যা করবেন-
হজমের সমস্যা দূর করার উপায়:
খাবার বেশি চিবিয়ে খান : অনেকেরই অভ্যাস থাকে খাবার বেশি না চিবিয়ে গিলে ফেলা। এতে খাবার হজম হতে খুবই সমস্যা হয়। এ কাজটি হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই খাবার খাওয়ার সময় যতো বেশি পারেন চিবিয়ে খান। তাহলে হজমের জন্য ভালো হবে।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ : আমাদের হজমশক্তি উন্নত করতে ক্যালসিয়াম বিশেষভাবে কার্যকর। ক্যালসিয়াম আমাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালনা করতেও বেশ সাহায্য করে।
দ্রুত খাবার হজমের উপায়:
সংরক্ষিত খাবারকে না বলুন : টিনজাত অথবা প্লাস্টিকের প্যাকেটজাত খাবার খেলে হজমে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কারণ খাবারগুলো যখন প্রসেস করা হয় তখন প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব খাবারে হজমের সমস্যা পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
গ্রিন টী : হজম শক্তি বাড়ানো এবং হজমসংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে গ্রিন টী’র তুলনা হয় না। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিনটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
পাচনতন্ত্র শক্তিশালী করার উপায়:
ঝাল বা টক খাবার : মরিচের ক্যাপসাইসিন হজমশক্তি উন্নত করতে অনেক বেশি কার্যকর। খাবারে পরিমিত ঝাল খেতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। তাছাড়া প্রতিবেলা খাওয়ার পর সামান্য একটু টক জাতীয় কিছু খেতে পারলে হজমে দারুন উপকার পাওয়া সম্ভব। তাই প্রতিবেলা খাওয়ার পর একটুকরো তেতুল খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত শাকসবজি : পরিমিত পরিমাণে শাকসবজি খেলে হজমের সমস্যা কমে আসে। শাকসবজি দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে। কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি তাতে হজমশক্তি আরও বেশি উন্নত হয়।