করোনা আবহে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যবহারের রূপরেখা নির্দিষ্ট করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। অক্সিজেনের অপচয় যেন না হয় যাতে সঠিক ব্যবহার হয় সেই জন্য হাসপাতালগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।অক্সিজেনের সাধারণ মাস্ক, এনআরবিএম, হাই ফ্লো মাস্ক, এই ধরনের বিভিন্ন সরঞ্জামের ক্ষেত্রে কতটা অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে তার সঠিক ব্যবহার হবে, তারই বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে স্বাস্ত্য দফতর। দেশে করোনার সংক্রমণ যে ভয়ানক গতিতে ছড়াচ্ছে যার দরুন অক্সিজেনের আকালে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে একাধিক রাজ্যে।এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসিত হতে হয়েছে মোদি সরকারেকে। এই পরিস্থিতিতে, গত পরশু, অর্থাৎ রবিবার, করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সব রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার।
সেখানে বলে দেওয়া হয়, চিকিত্সা ছাড়া অন্য প্রয়োজনে লিক্যুইড অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না। জেনে রাখা দরকার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন সরবরাহ ও জোগানের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। তার থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত, চিকিত্সা ছাড়া অন্য প্রয়োজনে এখন অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্যগুলিকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।পাশাপাশি, দেশে ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইট, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকায় দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা সদরে সরকারি হাসপাতালে তৈরি হবে ৫৫১টা অক্সিজেন প্ল্যান্ট।যত দ্রুত সম্ভব এই প্ল্যান্টগুলো চালু করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিনই হাসপাতালে ৫ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হলে সেখান থেকেই প্রতিটি কোভিড ওয়ার্ডে রোগীদের বেডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট। এই অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্টবথেকে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও অক্সিজেন দেওয়া যাবে বলে সূত্রের খবর।