বাংলাদেশে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু


সোমবার,১৯/০৪/২০২১
547

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা:  করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণে হাসপাতালে শয্যা সংকটের মধ্যে ২১২ আইসিইউ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল চালু হয়েছে। ১৮ এপ্রিল রবিবার মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেটে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এক হাজারের বেশি শয্যার এই হাসপাতালটিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে। হাসপাতাল উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্বের ন্যায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন ভীতিকর হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঢাকার সব হাসপাতালের আইসিইউ বেড পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আইসিইউর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জরুরিভিত্তিতে ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো। এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য মোট বেড সংখ্যা রয়েছে ১ হাজারটি। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ বেড আছে ২১২টি, এইচডিইউ বেড আছে ২৫০টি, কোভিড আইসোলেটেড রুম আছে ৪৩৮টি। এখানে ইমার্জেন্সি বেড আছে ৫০টি, যার ৩০টি পুরুষ ও ২০টি মহিলা রোগীর জন্য। এর পাশাপাশি এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব, প্যাথলজি ল্যাব, রেডিও থেরাপি সেন্টার, এক্সরে সুবিধাসহ অন্য নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সঙ্গে এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

উদ্বোধনকালে হাসপাতালটির ২৬০টি বেড সচল হচ্ছে। যেখানে আইসিইউ বেড রয়েছে ৬০টি, ইমার্জেন্সি ৫০টি, জেনারেল ওয়ার্ড ১৫০টি। আগামী সাত দিনের মধ্যে আরো ২৫০ বেড সচল হবে এবং এ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে সচল হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে যতগুলো আইসিউ সুবিধা রয়েছে, শুধু এই হাসপাতালেই তার চেয়ে বেশি আইসিইউ সমমানের শয্যা রয়েছে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড বেড সংখ্য বৃদ্ধি ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাদি বৃদ্ধি করার বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে। আরো ৩৪টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এসব সুবিধাদি নিশ্চয়ই দেশের কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রেখে চলেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এফসিপিএস ডিরেক্টরেট জেনারেল মেডিক্যাল সার্ভিসেস মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঞ্জুর আহমেদ, এইচইডি-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির এবং ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম নাসির উদ্দিন। দেশের বৃহৎ এই কোভিড হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুত্ ও পানির ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। যন্ত্রপাতি, লোকবল, ওষুধসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা ভাইরাস মহামারির সময় এটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা দেবে। মহামারি শেষ হলে এটি জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট