তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা বলছেন খেলা হবে, তাঁদের সব ছবি তুলে রেখে দিন। ২ মের পর আমরা তাদের সঙ্গে খেলবো। রবিবার বর্ধমানের রায়না হাসপাতাল সংলগ্ন খেলার মাঠে বিজেপি প্রার্থী মানিক রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এসে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়ে গেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সেই সভাতেই এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে হুমকি দিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল। যদিও এদিন তৃণমূল ত্যাগী এই বিজেপি নেতার বক্তব্যের রীতিমত ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। এদিন সুনীল মণ্ডল বলেন, যাঁরা বলছেন খেলা হবে, তাদের খেলার লোক নেই। তাদের খেলার লোক সব বিজেপিতে চলে এসেছে। আর যারা বলছে খেলা হবে, তাদের ছবি তুলে রাখুন, ২ মের পর তাদের সঙ্গে খেলা হবে। আর সুনীল মণ্ডলের এই বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে শোরগোল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকদের কার্যত মারধরের হুমকি দিয়েছেন সুনীল মণ্ডল – এমনটাই অভিযোগ তুলে এবার রাজ্যের শাসকদল নালিশ জানাতে চলেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। এদিন রায়নায় প্রচারে এসে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী প্রতিশ্রুতি দেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে কোনো দাঙ্গা হবে না। বাংলার মহিলাদের লাগবে না কোনো পরিবহণ খরচ – তা সে বাস থেকে ট্রেন কোথাও কোনো খরচ লাগবে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা হবে সম্পূর্ণ নিখরচায়।
বিধবা মহিলাদের জন্য মাসে বরাদ্দ হবে ৫ হাজার টাকা। ১৮ বছর বয়স হয়ে গেলেই ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক একাউণ্টে চলে যাবে ২ লক্ষ টাকা। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যেই গোটা বাংলার হবে ভোল বদল- গড়ে উঠবে সোনার বাংলা। জেলার সমস্ত হাসপাতালের বেড হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। বিদ্যুতের দাম কমানো হবে। একদিকে যেমন তিনি বারবার বিজেপির ইস্তাহারকে তুলে ধরেছেন, তেমনি শীতলকুচি নিয়েও মিঠুন এদিন বলেছেন, কি হচ্ছে এসব। সিংহাসনটাকে ধরে রাখার জন্য কেন এসব করা হচ্ছে। এদিন জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এসব উস্কানিতে পা দেবেন না। নেতারা উস্কানি দিয়ে চলে যাবে, কিন্তু ক্ষতি হয়ে যাবে আপনাদের। বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবার ঘোষণাকে রীতিমত ব্যবসা বলেও কটাক্ষ করেছেন মহাগুরু। তিনি বলেন, ৬ কোটি মানুষকে বাড়িতে বাড়িতে রেশন দিতে গেলে যে পরিকাঠামো দরকার তা নেই। আসলে এর নামে আবার ব্যবসা চলবে। শুধু তাই নয়, সেই রেশনের মাল ঠিক আছে কিনা তাও জানা অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবেন না। প্রয়োজন হলে ফোন করবেন এমএলএ ফাটাকেষ্ট হাজির হয়ে যাবে। এদিন রায়নার এই সভায় কাঠফাটা রোদকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কার্যতই শাসকদলের ঘুম ছুটিয়েছে।