ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’র সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ৯ এপ্রিল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে কমিটির ৩০তম সভা হয়। এতে সারা দেশে দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধিতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে ১৮টি নির্দেশনা জারি হয়েছিল, সেগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। তাই ‘বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোয় ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয় ওই সভায়।
লকডাউনের দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। কমিটির ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ বাড়ছে, তাই হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো দরকার। শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। কমিটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের টেষ্ট করতে আসা ব্যক্তিদের একটা বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্যদের পরীক্ষার জন্য বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভালো ফল এনেছে। বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করতে টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানির করে টিকাদানের পুনরায় সুপারিশ করা হয় সভায়।