ডুরগীর চোখে বিধানসভা নির্বাচন


রবিবার,২১/০৩/২০২১
1002

পাহাড়ের কোলে জঙ্গল ঘেরা গ্রাম ডুরগী। পুরুলিয়া জেলার বাগমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই গ্রামেও ভোটের যথেষ্টই উত্তাপ চড়ছে। কী বলছেন সাধারণ মানুষ? বাংলা জাগো’র বিশেষ রিপোর্ট। প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যের ডালি। পাহাড় এবং অরণ্য ঘেরা ডুরগী। ঝালিদা রেল স্টেশন লাগোয়া রেলগেট পার হয়ে পাহাড়ের গা ঘেঁষে সোজা চলে গিয়েছে মহাদেবপুরের দিকে। ঝালদা শহর থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ। ভোটের হাওয়া বুঝতে বেরিয়ে পড়েছিল বাংলা জাগো টিভি। সুবিস্তৃত বনাঞ্চলের মাঝে সরু রাস্তা। শাল পিয়ালের জঙ্গল পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম এই ছোট্ট জনপদে। নাম ডুরগী। বাগমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই এলাকা।ভোটের আঁচ এখানেও পড়েছে। দেওয়ালে ভরে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন।

পাড়ার মোড়ে দু’চারটে দোকান। একটিই মাত্র চায়ের দোকান। শহুরে চা-চর্চ্চার গরমা-গরম না হলেও ভোটের উত্তাপে বাদ পড়েনি। পারদ যে চড়ছে তা রাজনৈতিক আলোচনা থেকেই স্পষ্ট। গত 10 বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে যে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গৃহীত হয়েছে তার সুফল পৌঁছেছে এখানেও। কে জিতবে বাঘমুন্ডিতে? রাজ্যে আবারও মমতার সরকার? সূর্য তখন ডোবার পালা। ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। এঁদের অনেকেই জানালেন এই গ্রামের মানুষও রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফের ক্ষমতায় তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার গড়ে উঠবে। প্রথম পর্যায়ে ২৭ মার্চ ভোট গ্রহন বাঘমুন্ডিতে। ভোটের দিন এগিয়ে এলেও অনেক এলাকাতেই ভোট নিয়ে তাপ উত্তাপ নেই। ডুরগীতে কিছুটা রাজনৈতিক উত্তাপ মিললেও অধিকাংশ গ্রামই যেন ভোট নিয়ে নীরবতা পালন করে চলেছে।ঝালদার দড়দা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সেই ছবিই ধরা পড়ল। ঝালদা থেকে কুমারকুলির রাস্তা ধরে চাতমঘুটু গ্রামেও সেই একই ছবি। তবে নিরবতার মাঝে সেজে ওঠার আনন্দ। নাগরিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের আকাঙ্খা। আর এই নিয়েই কোথাও তাপ-উত্তাপ আবার কোথাও উত্তাপহীন ভোট আবহ পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট