জাম্বনী ব্লকের পডিহাটির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা ,”আপনার হেলিকপ্টার যে ঝাড়গ্রামে নামছে, এটাই আসল পরিবর্তন। ২০১১’র আগে ক’বার দেখেছেন বুদ্ধবাবুকে জঙ্গলমহলে? আমরা যেমন ইংরেজকে ভারত ছাড়া করেছিলাম, তেমন বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করতে হবে। যারা বাংলা ভাল করে বলতে পারেন না, তাঁদের নির্বাচনে হারাতে হবে।” অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, “যে কোনও সময় আমি ওঁদের সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে তর্কে যেতে রাজি। আমার দিদি ১০ বছরে কী উন্নয়ন করেছে, আর তোমার মোদি ৭ বছরে কী কাজ করেছে, সেটা নিয়ে তর্ক হোক। উন্নয়নের নিরিখে লড়াই করে ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না।”
আগামী ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর চোখে সর্ষেফুল দেখবে পদ্মফুল, এদিন জাম্বনীর পডিহাটির সভায় এমনটাই মন্তব্য করেছেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে বিজেপির কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না মে মাসের পর থেকে। ২০১৯ সালে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়ার মতো জায়গায় মানুষকে ভুল বুঝিয়েই যে গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এসেছিল গেরুয়া শিবিরে, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঘাসফুল নেতা।
বিজেপির বিরুদ্ধে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বড় হাতিয়ার উন্নয়নই, বিনপুরের জনসভা থেকে বারবার জোর গলায় তেমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি নিজেকে সর্ববৃহৎ দল বলে, একটা সর্ববৃহৎ দলকে ল্যাজেগোবরে করে দিচ্ছে আঞ্চলিক দল।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসকে বর্তমানে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথীর মতো রাজ্য সরকারি প্রকল্পের উল্লেখ করেও এদিন বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন ঘাসফুল সাংসদ। তাঁর কথায়, “ওরা বলছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ভাওতা। আর দিলীপ ঘোষের বাড়ির দাদা বউদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে বলছে মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।”