বাংলায় আগমন দিল্লির কৃষক আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বের


শুক্রবার,১২/০৩/২০২১
2017

কোলকাতা: দিল্লির আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির সমন্বয় মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃবৃন্দ আজ কোলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাঁরা বলেন কৃষক সম্প্রদায়ের বিনা চাওয়ায়, তাদের সাথে কথা না বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এমন আইন এনেছে যা শুধু কৃষির জন্যে ক্ষতিকারক নয়, দেশের পুরো কৃষক কুলকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। প্রতিবাদী কৃষকদের বারে বারে দালাল, উগ্রপন্থী, দেশদ্রোহী বলে অপমান করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষকদের সাথে কখনোই খোলা মনে আলোচনা করেনি বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির নির্দেশেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী কৃষকরা পেয়েছে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ও মিথ্যা মামলা। তাই এই বিজেপি দলটি ঘোর কৃষক বিরোধী। সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায়, ভালো মন্দ, সাংবিধানিক অসাংবিধানিক এসব কোন কিছুই বোঝেনা এই দল। বোঝে শুধু ভোট, আসন সংখ্যা আর শাসন ক্ষমতা। তাই যে যে ভাষা বোঝে, তাকে সেই ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য, বাংলার চাষিকে আহ্বান করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা নেতৃত্ব – বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবার জন্য বিজেপির ভোট না দেওয়ার জন্য। তারা বলেন কোন দলকে বাংলার চাষিরা ভোট দেবেন, তা নিয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই। তাঁরা যাকে খুশি ভোট দিতে পারেন। শুধু ভোট দেওয়ার সময় যেন বাংলার চাষিরা এই আবেদন মনে রাখেন এবং পদ্ম চিহ্নের পক্ষে ভোট না দেন। বাংলার নির্বাচন জিততে মরীয়া বিজেপি এই নির্বাচনে হারলেই, তাদের অহংকারের ফানুস চুপসে যাবে। মোদীজী বাধ্য হবেন আন্দোলনরত কৃষকের দাবি মেনে নিতে। বাংলার কৃষককে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দেশের কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রকাশ করেন নেতৃত্ব এবং গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সেই চিঠি তাঁরা বাংলার ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে দেবার জন্য, ২৯৪জন কিষাণ দূতের হাতে তুলে দেন। কিষাণ দূতেরা সেই চিঠি নিয়ে ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এই চিঠি রিলে পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলার সব কৃষকের হাতে পৌঁছে দেবার পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

যোগেন্দ্র যাদব, মেধা পাটেকর, হান্নান মোল্লা, অতুল কুমার আনজান, বলবির সিং রাজেওায়াল, অভীক সাহা, গুরনাম সিং চাডুনি, রাজা রাম সিং, সত্যবান, ডঃ সুনীলম, ডঃ সতনাম সিং আজনালা, হিমাংশু তিওায়ারী প্রভৃতি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনের পর বিরাট ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে নেতৃবৃন্দ মৌলালীর রামলীলা ময়দানে পৌঁছান। সেখানে হাজারে হাজারে বাংলার কৃষক ও মজুরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ কৃষক– মজুর মহাপঞ্চায়েত। সেখানেও নেতৃত্ব তাদের ভাষণে বিজেপির কৃষক বিরোধী ভুমিকার কথা তুলে ধরে, নির্বাচনে তাদের সাজা দেওয়ার আবেদন জানান।

সন্ধ্যাবেলা ভবানীপুরের খালসা উচ্চ বিদ্যালয়ে শহরের বুদ্ধিজীবীদের সাথে এক চা চক্রে মিলিত হন কৃষক নেতৃবৃন্দ। আগামী ১৩ মার্চ কোলকাতার মেয়ো রোডে, ভবানীপুরে এবং নন্দীগ্রামে, ১৪ মার্চ সিঙ্গুরে এবং আসানসোলে কৃষক মহাপঞ্চায়েত হবে এবং রাকেশ টিকায়েত সহ সমস্ত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট