ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারি বর্ষণের পর বন্যায় তলিয়ে যায় কাতারের রাজধানী দোহা। সেই পানির মধ্যেই কাজ করছিলেন বাংলাদেশি শ্রমিক শহীদ মিয়া। একসময় মেঝেতে জমে থাকা সেই বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক তার পড়ার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান শহীদ। ২০১৭ সাল থেকে কাতারে কাজ করছিলেন তিনি। অথচ তার মৃত্যুর পর এখনো পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি কাতার সরকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান শহীদ মিয়ার ঋণগ্রস্ত বাবা। গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, ২০১০ সাল থেকে ১০ বছরে কাতারে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৫০০ শ্রমিকের। তাদের মধ্যে ১০১৮ জন বাংলাদেশি। সবচেয়ে বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ভারতের। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পর মৃতের সংখ্যায় এগিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ অর্জনের পর থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিয়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু করে কাতার। এসব প্রকল্পের মধ্যে নতুন বিমানবন্দর, সড়ক, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ স্টেডিয়াম তৈরিরও আয়োজন হয় দেশটিতে। অথচ এইসব নির্মাণকাজে জড়িত শ্রমিকদের দেখভালের জন্য শ্রম আইন কিংবা মানবাধিকারের কোনো তোয়াক্কাই করেনি কাতার সরকার। কাতারের সরকারি তথ্য মতে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার কাতার অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১২ জন মারা গেছেন। তবে গার্ডিয়ানের দাবি, শ্রমিকদের প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তাদের জরিপের চেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশিসহ ৬ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু কাতারে গত ১০ বছরে
বুধবার,২৪/০২/২০২১
697