আলজাজিরার বিরুদ্ধে মামলা ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের আদালত


বুধবার,২৪/০২/২০২১
1752

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার মহাপরিচালক (এডিটিং কাউন্সিল) মোস্তফা স্যোউয়াগসহ চার জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন আদালত। ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত এ আদেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী বাংলাদেশি জুলকারনাইন সামি এবং আলজাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল ও প্রধান সম্পাদক মোস্তফা স্যোয়াগ। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক মামলাটি দায়ের করেন। একইদিন আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তারপর আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেবেন বলে জানান। তবে ওইদিন মামলাগ্রহণের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনাম হানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছে।

তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দি প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদনটি প্রচার করে এবং ওই প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়, যা পরেরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকাসমূহে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।’ এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আসামিরা ওই প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেবল কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করে কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো কল্পিত তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আল জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে।’

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট