দক্ষিণ দিনাজপুর: বসন্ত পঞ্চমী মানেই বাঙালির ভালবাসার দিন। এককথায় বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। এই দিনের জন্য বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় অপেক্ষা। অন্যদিকে সরস্বতী পুজো এবং হাতে খড়ির সম্পর্ক! আজও চলে আসছে সেই সাবেকি প্রথা।বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’-এর অন্যতম, সরস্বতী পুজো। আর সরস্বতী পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে রয়েছে সাবেকি এক প্রথা এই হাতে খড়ি।যেটি না হলে শিক্ষার শুরুই যে হয় না!শিশুদের বিদ্যার সূচনা হওয়ার আগেই দেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে হাতেখড়ি দেওয়ানো হয়। চক খড়ি এবং স্লেটের সাহায্যে লেখার শুভারম্ভ হয় শিক্ষার্থীদের। স্নান সেরে পরিষ্কার বসন পরে স্লেট এবং খড়ি হাতে দেবী সরস্বতীর সামনে বসে প্রথম লেখা শেখানো হয় তাকে। যতই ডিজিটাল যুগহোক, এটাই পুরোনো রেওয়াজ হাতেখড়ি আজও সেই সাবেকি স্লেটে।বর্তমানের ‘হাইটেক’ যুগে ছোটদের পড়াশোনা শেখানোর হাজার উপকরণ সহজলভ্য। যে কোনও শপিং মল বা অনলাইনে হাতের লেখা শেখানোর উপকরণের বাহুল্য। তবু, পুরোনো এই বিধি এখনও ঐতিহ্য হিসেবে সগর্বে বহন করছেন বাঙালিদের একটা বড় অংশ। এখনও সরস্বতী পুজোয় ছোটদের হাতেখড়ি হয়।
বসন্ত পঞ্চমী মানেই বাঙালির ভালবাসার দিন
বুধবার,১৭/০২/২০২১
724