পশ্চিম মেদিনীপুর:- বাংলায় শুরু হয়েছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা। জেপি নাড্ডার হাত ধরে শুরু হয় এই যাত্রা। ৯ তারিখ তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে রথ যাত্রার সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবার সেই রথই দেখা গেল গ্রামে ও শহরের পথে পথে। গ্রামের পথ দিয়ে এগিয়ে চলেছে পরিবর্তনের রথ। বিজেপির এই পরিবর্তন রথ কেশপুরে পৌঁছতেই তা এক পলক দেখার জন্য সাধারণ মানুষ রাস্তার দুধারে উপচে পড়লো।
রবিবার সেই পরিবর্তনের রথ চন্দ্রকোনার গাছশীতলা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গা ঘোরে পাছখুরি হয়ে এসে পৌঁছালো কেশপুর বাজারে। এদিন কেশপুরের পাছখুরি বাজার এলাকায় হাজির হয় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ। এদিন কেশপুরের খেতুয়া থেকে বাইক রেলির মধ্য দিয়ে বিজেপি কর্মীরা পাছখুরি বাজার এলাকায় এই রথকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়।সেই উপলখ্যে পাছখুরি বাজার এলাকায় এক পথ সভারও আয়োজন করা হয় কেশপুর উত্তর মন্ডলের পক্ষ্য থেকে।
এই পথসভায় উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক তুষার মুখার্জী, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস ও কেশপুর বিধানসভার কনভেনার অজয় কৃষ্ণ প্রধান, কেশপুর উত্তর মন্ডলের সভাপতি প্রবীণ হালদার সহ অন্যান্যরা। এদিন কেশপুরের পরিবর্তন যাত্রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান রাম নামের সমস্ত দলের কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন দিদির দুথ বেরিয়েছে তাকে রংয়ের দ্রুত বলে কটাক্ষ করেন। সেইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আর জানান প্রিজমের দুধ যখন আপনাদের পাড়ায় যাবে তখন আপনারা ঝাটা নিয়ে বিতাড়িত করে পশ্চিমবাংলা থেকে তৃণমূল নামক লিমিটেড কোম্পানিকে উৎখাত করেবেন।
রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ কৃষকদের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কার্যত বিজেপিকে রাজ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান দিলীপ ঘোষ। কেশপুর বাজারে সময় দিলীপ ঘোষ কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকে হূশিয়ারী দিয়ে বলেন ভোটের দিন যে সমস্ত দিদির চামচা রা ভয় দেখাতে আসবে ভোট লুট করতে আসবে বাড়িতে বলে আছে আমাদের আর ফেরা নাও হতে পারে
বর্তমান রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, যখন আমরা ২০১১ তে ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন যা দেনার পরিমাণ ছিল, তার থেকে ১৫০গুণ বেশী এই সরকার ১০ বছরে দেনা করেছে। তিনি বলেন , যে বাংলার স্বপ্ন স্বামী বিবেকানন্দ দেখেছেন, যে বাংলার স্বপ্ন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দেখেছেন, যদি সেই স্বপ্ন সত্যিকারের করতে হয় আমি আপনাদের আবার বলব, ১০ বছর সুযোগ দিয়েছেন, দয়া করে ৫ বছর ভারতীয় জনতা পার্টিকে সুযোগ দিন যদি দেখেন আমরা কাজ করতে পারলাম না, আবার আপনারা পাল্টে দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কয়েক বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেশিয়াড়ীতে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না হওয়া নিয়ে খোভ প্রকাশ করেন তিনি তৃনমূলের বিরুদ্ধে।