ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সহস্রাধিক হাসপাতালে শুরু হলো করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যালয়ে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন। আজকে মন্ত্রী, সচিবসহ অনেক বিশিষ্টজন টিকা নেবেন। এতে জনগণের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ৭০ লাখ ডোজ টিকা আছে। যাতে ৩৫ লাখ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া সম্ভব। তিনি সবাইকে টিকা নেয়ার ব্যাপারে যতœশীল হবার আহবান জানান। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক করেন। এদিন রাজধানীর পাশাপাশি দেশের সবগুলো জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হলো। দিনের বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নেবেন। এদিন সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি জানান, প্রথমে একজন নারী বিচারপতি টিকা নিয়েছেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ইনায়েতম রহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আব্দুস সামাদও টিকা নিয়েছেন। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৮টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশের ৯৫৫টি হাসপাতালসহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে। কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ ১৫ ধরনের পেশাজীবীকে সরকারের পক্ষ থেকে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এদের পাশাপাশি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান সব মুক্তিযোদ্ধা এবং বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা প্রথম ধাপের অগ্রবর্তী তালিকায় রয়েছেন। সুরক্ষা অ্যাপ নিবন্ধন করে সেখানে পাওয়া এসএমএস অনুযায়ী ভ্যাকসিন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে দেশবাসীর সুবিধার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে করোনা ভ্যাকসিনের বুথে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন এমন কথাও শনিবার সরককারিভাবে জানানো হয়েছে। দেশের জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে যেহেতু প্রথম দিন, নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে হয়তো স্থানীয় ব্যবস্থাপকরা টিকা গ্রহণকারীদের সুবিধা বিবেচনা করে সময় আগে-পরে করতে পারে। শীতজনিত কারণেও দেশের কোনো কোনো জেলা-উপজেলার হাসপাতালে টিকাদানের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু সকাল ৯টা বা ১০টায় শুরু হয়।