“বিরোধীদের শত্রু ভেবে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না”- রাজীব


মঙ্গলবার,০২/০২/২০২১
2288

গণতন্ত্রে রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। বিরোধীদের শত্রু ভেবে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। হাওড়ায় বললেন রাজীব।

“গণতন্ত্রের রাজনীতি করার অধিকার সকলের রয়েছে। গণতন্ত্রে একজন মানুষ যে কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে, সভা-সমিতিতে, মিছিলে যোগদান করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা তার রয়েছে। কিন্তু, কেউ যদি ভেবে নেয় বিরোধী দলের কোনো কর্মী, সমর্থক তাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদের রাজনৈতিক শত্রু এবং তাদের উপর রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করবো, এই জিনিস বাংলার কৃষ্টি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। অতীতে বামপন্থীরা এই ভুল কাজ করে তাদের ভুগতে হয়েছে। আজকে শাসক দল যে কাজ করছে তারও আমি তীব্র নিন্দা করছি।” সোমবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের দলীয় কার্যালয় সাংগঠনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন।

গণতন্ত্রে রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। বিরোধীদের শত্রু ভেবে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। হাওড়ায় বললেন রাজীব।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকতেই পারে, কিন্তু তাকে রাজনৈতিক শত্রু ভাবা উচিত নয়। বাংলায় এই সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়া দরকার।” তিনি আরও বলেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছেড়ে দেবার পর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর তাকে বলা হয়েছিল বট গাছের ঝরা পাতা। তাকে বলা হয়েছিল সমুদ্রের এক ঘটি জল। তারা আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত উতলা কেন ? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত চিন্তা কেন ? আমি তো কোনও নেতৃত্বের নাম নিয়ে কোনো মন্তব্য করিনি ? ব্যক্তি আক্রমণে আমি বিশ্বাসী নই।” বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সোমবার প্রথম হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে। সেই নিরাপত্তা বলয় নিয়েই এদিন তিনি হাওড়ায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচিতির পাশাপাশি এদিন দলের আগামী দিনের কর্মসূচির রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনা হয় পরিবর্তন যাত্রা নিয়েও।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট