পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী


বুধবার,২৭/০১/২০২১
1109

ঝাড়গ্রাম:- ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দান থেকে জনসভা করে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, মাঝরাতে পুলিশকে দিয়ে ভোট গণনায় কারচুপি করিয়েছিল তৃণমূল। তখন তিনি সেই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ছিলেন, তাই তিনি জানেন। এ দিন ঝাড়গ্রামে কৃষক সুরক্ষা অভিযান ও যোগদান মেলায় অংশগ্রহণ করে এমনই বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী।

আজ তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে পুরুলিয়ার মানুষ যেটুকু ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল তারা ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকেই দিয়েছিল। কিন্তু, তিনি জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কাউকে নমিনেশন করতে দেওয়া হয়নি, বিডিও অফিসের সামনে বন্দুক, বোমা নিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। এই পরিপেক্ষিতেই তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, মাঝরাতে পুলিশকে ভোট গণনায় কারচুপি করিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেভাবেই ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদ দখল করেছে তারা। শুভেন্দুর বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলা পরিষদ বিজেপি জিতেছিল। গায়ের জোরে রাত্রিবেলা দুটো-তিনটে পর্যন্ত সমস্ত পদ্মফুলের বান্ডিলের উপর একটা করে জোড়া ফুলের ব্যালট দিয়ে সব বান্ডিল নিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 

এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, পরবর্তী ক্ষেত্রে যখন লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় প্রচারে এলেন, সেই সময়ে সকলে প্রমাণ করে দিয়েছিল যে তারা কাকে নির্বাচিত করেছে। এক্ষেত্রে তিনি মনে করিয়ে দেন পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ যে সমস্ত এলাকা জঙ্গলমহলের আওতায় পড়ে সব জায়গায় জিতেছিল গেরুয়া বাহিনী নেতা। এদিন একবার ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ফের একবার মনে করিয়ে দেন, কর্মচারী হয়ে তিনি থাকতে চাননি ওই দলে, চেয়ে ছিলেন সহকর্মীর মর্যাদা। কিন্তু সেই দলের থেকে তিনি সহকর্মীর মর্যাদা পাননি বলে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন নব্য বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার একটাও পূরণ করতে পারেননি তিনি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট