আজ তৃণমূল ভবনে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে যোগ দেন ইম্পার কর্তা পিয়া সেনগুপ্ত। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন এই দুজন। আজ এই যোগদান অনুষ্ঠান থেকে কৌশানী মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি যুব সমাজের প্রতিনিধি হয়ে বলছি, আমায় দেখে অনেকে এগিয়ে আসুক। যারা ঘরের ভেতরে দিদিকে সমর্থন করেন। তাঁরা এগিয়ে আসুন।” পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার কথাও বলেন।
শিল্পীরা কাঁটা হয়ে আছেন, দমবন্ধ করা অবস্থা দেশের শিল্পীদের, আমাদের রাজ্যে সে অবস্থা নয়। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র ব্রাত্য বসু বললেন এমনটাই। আরও জানালেন, অভিনেতা অভিনেত্রীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া আগে হয়নি। মোদি সরকারের আমলে সেটা হচ্ছে। দলের আর এক মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন,
তৃণমূল এখন মানুষের মহাজোট। গোটা সমাজকে প্রমোট করে তৃণমূল। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ, বিভিন্ন পেশার মানুষকে তৃণমূল সামনের সারিতে রাখে। একটা কুৎসিত শক্তি বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চাইছে। এর প্রতিবাদ জানাতে সবাই জোটবদ্ধ হচ্ছেন। পিয়া সেনগুপ্ত বলেন,
মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে অনুপ্রাণিত আমি। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে কাজ করবো। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখবো। গতকাল যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ধিক্কার জানাচ্ছি। দিদির পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।
কৌষানি ব্যানার্জী বলেন, আমি চাই আমার মতন অনেকে এগিয়ে আসুক। বাংলার মানুষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে এই দলের সরকারের কাছ থেকে। আমার মত অনেক ভক্ত আছে কিন্তু রাজনীতিতে আসেনি তাদের বলবো রাজনীতি করুন। মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই।
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, একজন মহিলা বক্তব্য রাখতে উঠেছেন, তাকে অসম্মান করা হল। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা মহিলাদের সম্মান দিতে শেখেনি। যারা ট্যুইট করছে তারা নেতাজী মানে জানেন না। তাদের কাছে নেতাজী মানে মোদি। তারও আরও মন্তব্য, দিলীপবাবুদের কান্ডজ্ঞান নেই। কোনটা সরকারি কোনটা দলীয় প্রোগ্রাম সেটাই জানে না।
কুনাল ঘোষ বলেন, যারা বিবেকের কথা বলছে তারা সুবিধা ভোগ করেছে। এখন এইসব বলছে। মানুষ বুঝে নেবে। যদি অভিমান হয়ে থাকে তবে তারা কটা দিন ঘরে বসে থাকতে পারে, যদি তৃণমূলের রক্ত থাকে তাহলে অন্য দলে যোগ দিতে পারে না। চূড়ান্ত কুৎসা চলছে বাংলার রাজনীতিতে।