তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি হলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সেই সঙ্গে রাজ্য কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে আরও দুজন নতুন মুখ। এই দুজন হলেন মালদহ জেলার অন্যতম নেতা মোজাম্মেল হোসেন এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম তৃণমূল নেতা শংকর চক্রবর্তী। নিজের লোকসভা এলাকায় কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। দলের কিছু নেতার জন্য নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। দল ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। এমনও শোনা গিয়েছিল দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন শতাব্দী রায়।
শতাব্দী রায়ের বিদ্রোহের ফলে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় যুব নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে অভিমান কাটান শতাব্দী। সেই শতাব্দী রায়কে এবার আনা হল রাজ্য কমিটিতে। সেইসঙ্গে সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হলোদ তাঁকে। অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন শংকর চক্রবর্তী এবং মালদহ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। দু’জনকেই রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি পদে এনে ওই দুই জেলায় চেয়ারম্যান পদে আনা হয়েছে অন্য মুখ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান পদে আনা হয়েছে বিপ্লব মিত্রকে এবং মালদহ জেলার চেয়ারম্যান পদে আনা হয়েছে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে।