ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নিবিড় ব্যবস্থাপনায় করোনাভাইরাসের টিকা জেলা সরকারি হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্ধারিত সাধারণ মানুষের কাছে যাতে নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। ১৩ জানুয়ারি বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার। সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হওয়ার কথা। অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিলো, তাতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
এদিকে সংসদীয় কমিটি ‘স্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম ইন বিএসএমএমইউ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ভৌত অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় জনবলের সংস্থান করার উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করেছে। এছাড়া বৈঠকে সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারী বিনামূল্যে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরণ প্রকল্প (২য় পর্ব)’এর আওতায় দ্রুত বর্জ্য নিষ্কাশন প্ল্যান্ট পুনঃস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার, রওশন আরা মান্নান এবং আদিবা আনজুম মিতা অংশ নেন।