কোলকাতার “অন্নদাতাদের সাথে বাংলা” লাগাতার ধর্না মঞ্চ উপস্থিত ছিলেন বাংলার সমস্ত কৃষক খেত মজুর সংগঠনের নেতৃত্ব। সেই মঞ্চ থেকে প্রায় ৫০০ মানুষ মিছিল করে গিয়ে ধর্মতলার মোড়ে কৃষি আইনকে ধিক্কার জানায় ও আইন বাতিলের দাবি তোলে। সেই সাথে গ্রামীণ অর্থনীতি ধ্বংসকারী এবং কৃষক বিরোধী কৃষি আইনকে সমর্থন করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ভোট দেওয়ার জন্য বাংলার বিজেপি সাংসদদের তীব্র ধিক্কার জানিয়ে, কৃষি আইনের প্রতিলিপি ও বাংলার বিজেপি সাংসদদের কুশপুতুলও পোড়ান হয়।
পঞ্চম দিনে কোলকাতার “অন্নদাতাদের সাথে বাংলা”-র লাগাতার ধর্না মঞ্চে শত শত মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মঞ্চস্থ করা হয় নাটক “ইঁদুরের কল”। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে দিনজুড়ে। উত্তর ভারতের “লোহরী”, কেরলের “পোঙ্গল”, অহমের “বিহু” ও ভারতের অন্যান্য জায়গার “সংক্রান্তির” দিনে, সারাদেশে কৃষি আইন পুড়িয়ে, দেশের মানুষ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন তারা কিছুতেই এই আইন মানবেনা।
AIKSCC-র সর্বভারতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোলকাতা সহ বাংলার অন্ততঃ ১০০ জায়গায় কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী কৃষি আইনের প্রতিলিপি জ্বালালো বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, ক্ষেতমজুর সংগঠন ও অন্যান্য নাগরিক ও গণসংগঠন। দিল্লির তথা সারা দেশের এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে, ধর্না মঞ্চের প্রতিবাদীরা সংকল্প করেন তারাও এই আইন ঠিক সেভাবেই রোধ করবেন – স্লোগান ওঠে “কৃষি আইন স্থগিত নয়, বাতিল চাই”। এদিনও কোলকাতার এক নাগরিক সংগঠন ধর্না স্থলে উপস্থিত সবাইয়ের খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সংহতি জ্ঞাপন করে।