আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিলেন বিজেপির সভাপতির পরিবারের সদস্যরা

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপতির পরিবারের সদস্যরা আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছিল। ছবি তোলার পাশাপাশি সাথে সাথে কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কার্ড নেওয়ার পর বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতির বোন অর্চনা শতপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ ‘খুবই ভালো’ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন। অর্চনা শতপতি বলেন, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য এসেছিলাম। কার্ড পেয়েছি খুবই খুশি আমরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ খুবই ভালো। জানা যায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বাসস্ট্যান্ডে ছবি তোলা হচ্ছিল। সেখানে ছবি তোলার জন্য লম্বা লাইন ছিল। বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার জন্য আসেন সুখময় শতপতির বাবা বছর পাঁচাশির অবনী শতপতি, মা বছর পঁয়ট্টির স্নেহলতা শতপতি, বোন অর্চনা শতপতি।

এমনকি তাঁর কাকা-কাকিমা, জেঠু-জেঠিমা এসেছিলেন। তাঁরাও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ তাঁদের ছবি তোলা হয়। এমনকি তাঁরা হাতে হাতে কার্ড পেয়ে যান। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উল্টো দিকে রয়েছে সুখময়বাবুর পৈতৃক বাড়ি। তবে সুখময়বাবু দীর্ঘদিন ধরে আলাদা ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ ডিসেম্বর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তবে এদিন ছবি তোলার জন্য বিজেপির জেলা সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ের নাম ছিল। কিন্তু তাঁরা ছবি তোলার জন্য আসেননি। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতর কটাক্ষ, বিজেপির জেলা সভাপতি বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-এ স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধীতা করছেন, অথচ তাঁর পরিবারের মানুষজন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড লাইনে দাঁড়িয়ে নিচ্ছেন। অথচ বিজেপি মানুষকে মিথ্যা কথা বলছেন। এর অর্থ হল মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা। 

আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিলেন বিজেপির সভাপতির পরিবারের সদস্যরা

স্বাস্থ্যসাথী নয় বাংলার সমস্ত পরিষেবা কোন রং দেখা হয় না। এই প্রকল্প গণমুখী। এটাই পশ্চিমবঙ্গ ও এটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, রাজ্য সরকার টাকা খরচ করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করছেন। সেজন্য সত্যি সত্যি দেখতে চায় এটা কি অবস্থায় আছে। আমার পরিবার যদি না নেয়, তাহলে আমি বুঝব কি করে? সেজন্য গিয়েছিল। আর চার মাস সময় রয়েছে। তারপর রাজ্যে এমনই আয়ুষ্মান ভারত চালু হয়ে যাবে।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন দোহাল

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…

4 days ago

ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন

আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…

4 days ago

তারা আর কোনো চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবে না

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…

4 days ago

গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…

4 days ago

‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি :সুকান্ত

রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…

4 days ago

বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে নিবন্ধিকৃত হতে হবে

সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…

4 days ago