হুগলির এক কিশোরীকে হাওড়ার লিলুয়ায় সরকারি হোমে হাতে সেফটিপিন ফুটিয়ে নিজেদের নাম লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তিন আবাসিকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় কিশোরীর পরিবার। বুধবার লিলুয়া হোমে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন মেয়েটির হাতে লেখা নামের কোনও আবাসিক ওই হোমে নেই। এমনকি হোম থেকে ছাড়ার সময়ে এবং তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। তখন হাতের ক্ষতের কথা জানা যায়নি। এদিকে, বুধবার রাতেই কিশোরীর বাড়িতে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার লকেটদেবী আসেন লিলুয়া হোমে। জানা গেছে, গত সোমবার হোম থেকে ছাড়া পেয়ে ওই কিশোরী বাড়ি ফেরে। কিশোরীর আত্মীয়রা দাবি করেন মেয়েটির ডান হাতে ক্ষতচিহ্ন দেখেন তাঁরা। সেখানে তিনটি মেয়ের নাম লেখা রয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে হোমের তিন আবাসিকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে কিশোরীর পরিবার চুঁচুড়ার এসডিও এর কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিশোরীর হাতের মধ্যে কার নাম লেখা রয়েছে সেটা বড়ো কথা নয়। ঘটনা এই হোমের মধ্যে হয়েছে সেটাই বড়ো কথা। গতকাল অনন্যা চক্রবর্তী এসে যা বলে গেলেন আসলে তা হচ্ছে উপরের নির্দেশে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এই ঘটনায়। তদন্ত করে যদি একজনকেও শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে বাংলার সব হোমগুলি ঠিকঠাক হবে। আমরা দাবি করছি বাইরের কারও চাপিয়ে দেওয়া কথা নয়, নাবালিকার বয়ানকে সামনে রেখে ঘটনার তদন্ত করা হোক। নাবালিকাদের দিয়ে র্যাকেট, ব্যবসা, নোংরামি, অত্যাচার, নির্যাতন সব চালানো হচ্ছে। সব জেনেও হোম কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন বলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, তিনদিনের মধ্যে ঘটনার প্রতিকার না হলে বাংলা জুড়ে আন্দোলন হবে।”