শুভম ঘোষ: ফেসবুকে অনেক পোস্ট দেখেছি মৌসুনি (Mousuni) দ্বীপ নিয়ে, ছবি গুলো বরাবরই টানতো কিন্তু যাওয়ার সময় আর সুযোগ একসাথে হয়নি।২৫শে ডিসেম্বর প্ল্যান বানানো হলো.. ভালো ক্যাম্প যেগুলো গ্রুপে পড়েছিলাম সেগুলো ম্যাক্সিমাম সব বুকড। একটু খোঁজ খবর নিয়ে মাঝারি গোছের একটা ক্যাম্প ঠিক করা হলো, কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই অন্যান্য বারের মতো সেটা ক্যান্সেল হয়ে গেলো।
বানানো প্ল্যান ভেস্তে যাওয়ার কষ্ট আরো বেশি.. হটাৎ পরদিন অফিস যাওয়ার পথে ট্রেনে অফিসের দাদা-দিদি দের বলতেই তারা রাজি হয়ে গেলো। ক্যাম্প সব তো ঠিক করাই ছিল, তাই বুক করে নিলাম সাথে সাথে। তবে ডেট তা হলো ১লা জানুয়ারি, মন্দ নয়। নির্দিষ্ট দিনে কাক ভোরে দুটো নতুন কেনা NEXON নিয়ে আট জন মিলে বেরিয়ে পড়লাম মৌসুনির উদ্দেশে, হুজ্যুতির ঘটে গাড়ি পার্কিং করে চললাম ওপারে।
ক্যাম্পের নাম বালুচরি বিচ ক্যাম্প, সাজানো একটু কম হলেও ব্যবস্থা সব ভালোই, সি ফেসিং। আগের বার মঙ্গলগঞ্জ এ টেন্টে থাকার অভিজ্ঞতা থাকায় এবার কটেজ বুক করি।১২০০ টাকায় থাকা খাওয়া, রান্না বান্না সুন্দর। attached বাথরুম ছিল, সেটাও যথেষ্ট ভালো মানের। ব্রডব্যান্ড এবং wifi ও আছে ক্যাম্পে, বললেই পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।গিয়ে ডাবের জল, লাঞ্চে ভাত লেবু ডাল স্যালাড ফুলকপির তরকারি চিংড়ি কাতলা চাটনি পাঁপড়, বিকেলে চা মুড়ি ভেজ পকোড়া, সন্ধ্যেতে বারবিকিউ অর্ডার করেছিলাম ৩৫০/- প্রতি কেজি, রাতে রুটি আলুভাজ মাংস, সকালে লুচি কালো জিরে দিয়ে আলুর তরকারি ডিম সিদ্ধ আর মিষ্টি।
পরদিন বকখালি এর প্ল্যান থাকলেও দেরি করে বেরোনোর ফলে সেটা কাটিয়েই ফিরতে হলো, আসছে বছর আবার হবে এই আশা নিয়ে।(রাস্তা এবং অন্যান্য ডিটেলস, অভিজ্ঞতা গ্রুপের প্রচুর পোস্টে পাওয়া যাবে তাই নতুন করে আর কিছু লিখলাম না)
Booking.com