মিজান রহমান, ঢাকা: প্রথম ধাপে দেশে ২৫ লাখ মানুষকে নভেল করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব বয়সী আগে টিকা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ৫১ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। আমরা ৫০ লাখ জনগণের টিকা পাবো। প্রথম ৫০ লাখ টিকা ২ ডোজ করে ২৫ লাখ মানুষকে দেয়া হবে। ৬ মাসে ৩ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।’ সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির কাজ থেকে পৌনে ৭ কোটি টিকা জুনের মধ্যে চলে আসবে। দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকা নিশ্চিত করতে পারি, এ নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, ‘হার্ড ইউমিনিটি আনতে দেশে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দান নিশ্চিত করতে হবে। এ কথা সত্যি যে, কোনও ভ্যাকসিনের এখনও শতভাগ ফলাফল আসেনি। আমরা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা রেখেছি।
ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। টিকা পাওয়ায় করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য তালিকা করা হবে। তালিকা অনুযায়ী টিকা দেয়া হবে। জনগণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে। ইউনিয়ন পর্যায়েও এ নিয়ে কাজ করা হবে। নিবন্ধনে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) প্রয়োজন হবে।’ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কারণে দরিদ্র ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর টিকা প্রাপ্তি থেকে বাদ পড়ার কোনও শঙ্কা নেই জানিয়ে ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘টিকা দেয়ার আগে নিবন্ধনের জন্য সারা দেশে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। নিবন্ধন ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না। নিরক্ষর মানুষদের জন্যও নিবন্ধনের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। গ্রাম পর্যায়েও এখন ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের সহযোগিতা করতে পারবে।’ বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আমদানি করা যাবে কিনা- এমন প্রশ্নে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোনও বাধা বা নির্দেশনা নেই। কোনও কোম্পানি যদি টিকা আনতে চায়, আমাদের অবশ্যই কিছু শর্ত থাকবে। টিকার ফলাফল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সক্ষমতা, মূল্য- এসব বিষয়গুলোর তথ্য আমাদের জানাতে হবে।’