হাওড়ায় নাম না করে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন চন্দ্রিমা


বুধবার,৩০/১২/২০২০
767

মঙ্গলবার খড়দহে এক কর্মসূচিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দুপুরে হাওড়ার বাঁধাঘাটের জনসভা থেকে তার জবাব দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, “কেউ বলছেন পরিবারে পদ্ম ফোটাবেন। বলছেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে পদ্ম ফোটাবেন। পদ্ম কোথায় হয় বলুন তো ? পাঁকে হয়। সেই পাঁকের পদ্মের কোনও গন্ধ নেই। সেই পদ্মের সার্থকতা তখনই হয়, যখন সেই পদ্ম দেবী দূর্গার পায়ে দেওয়া হয়। সেই দূর্গাতো ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) আমাদের কাছে আছে। তোমরা পাঁকে পদ্ম নিয়ে করবেটা কি ? পাঁক সব জায়গায় থাকেনা। তোমরা যদি নিজেরা পাঁক বাড়িতে নিয়ে আসো সেটা তোমাদের ব্যাপার। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পাঁক নেই। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে দূর্গা আছে। সন্ধি পুজোতে পদ্ম ফোটানো হয় একটা একটা করে পাপড়ি খুলে। তোমরা ( বিজেপি ) ভেবেছ দুই থেকে দুশো হয়ে যাবে ? জেনে রাখো দূর্গা আমাদের। তাই আমাদের দিকে আঙুল তুলবেন না। এই ধরণের কথা মানুষ মেনে নেয় না।” বুধবার দুপুরে হাওড়ার সালকিয়া বাঁধাঘাটে এক জনসভায় একথা বলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

তিনি আরও বলেন,”বাংলাতো সকলকে আহ্বান করে। বাংলাতো অতিথি বৎসল। এতো অতিথিপরায়ণতা প্রদেশ বোধহয় আর হবেনা। বাংলা কাদের বহিরাগত বলছে ? যারা বিয়াল্লিশ হাজার গ্রাম চাক্ষুষ করেননি। বাংলা কাদের বহিরাগত বলছে ? যারা তেইশটা জেলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। শুধু ভোট, ভোট আর ভোট করে ভোটের দিকে তাকিয়ে যারা বাংলা দখল করার কথা ভাবছে তাদের মানুষ বাংলা দখল করতে দেয়না। কিসের দখল ? আগে মানুষের মন দখল করতে হবেতো। বাংলা দখল এজন্মে আর হবেনা। এজন্মে সাধনা করো যদি পরের জন্মে সেটা হয়। আজকে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। ভোটের বাজারে এসে শ্রীঅরবিন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর স্বামী বিবেকানন্দ সাজলে সেটা কি বাংলার মানুষ মেনে নেবেন ? গতকাল বোলপুর দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হয়। তাই আন্দোলনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
উল্লেখ্য, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বিজেপির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হাওড়া জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ডাকে সালকিয়া বাঁধাঘাট মোড়ে এদিন ওই জনসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ রায়, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী রেখা রাউত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট