হাওড়া: রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্যের খতিয়ান রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরতে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ প্রচারাভিযানের সূচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সারা রাজ্য জুড়ে চার হাজারেরও বেশি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের এই সম্মিলিত সাফল্যের কথা তুলে ধরছেন। আজ রবিবার ২০ ডিসেম্বর হাওড়ার ৩৩ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় বঙ্গধ্বনি যাত্রার অঙ্গ হিসাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিন মধ্য হাওড়া বিধানসভা এলাকার ওই দুটি ওয়ার্ডের ভ্যানিশ কালিতলা থেকে চ্যাটার্জিহাট বাসস্ট্যান্ড এবং মন্দিরতলা থেকে শিবপুর বাজার পর্যন্ত কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন সুশোভন চট্টোপাধ্যায় সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। বিপুল মানুষ এই কর্মসূচিতে সাড়া দেন। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা মানুষ কিভাবে পেতে পারেন বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে কি সুবিধা মানুষ পাবেন তা এদিন অরূপ রায় এই কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, হাওড়া পৌরনিগমের ২২ নং ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জনসাধারণের দুয়ারে দুয়ারে এদিন পৌঁছে যান প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। এদিন প্রায় এক হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নিয়ে সকাল ১০টা থেকে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যান তিনি। উল্লেখ্য, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গত ১০ বছরে কি কি কাজ করেছে প্রত্যেকে কিভাবে উপকৃত হয়েছেন, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ কিভাবে উপকৃত হবেন বা যদি কোনও সরকারি সুযোগ থেকে কেউ বঞ্চিত হয়েছেন তার দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে।
এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকেই পার্টির নেতৃত্ব পার্টির ১০ বছরের রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ১০ দিন ধরে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩ থেকে ৫টি দলে ভাগ হয়ে পার্টি কর্মীরা একাধিক যাত্রা সংগঠিত করছেন। মোট ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে চার হাজার নেতৃবৃন্দ এই যাত্রাগুলিতে অংশগ্রহণ করছেন। এই দলগুলো সারা রাজ্য জুড়ে মোট এক কোটি বাড়ি এবং প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। এই কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূল নেতৃত্ব বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড বিতরণ করবেন। এর পাশাপাশি পথসভা, স্থানীয় জনসভা, স্থানীয় দলীয় কর্মীদের সভা, এলাকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সম্মান জ্ঞাপন এবং এলাকার সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করবেন।