সুরঞ্জনা মল্লিক: কোভিড 19 এয়ার ধাক্কা কাটিয়ে আমরা 5 জন ওয়ার্কিং লেডি অনেক কষ্টে ছুটি ম্যানেজ করে গিয়েছিলাম বাগদা ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্পে । বালাসোরের কাছে , রাস্ত খুবই ভালো।হাওড়া থেকে 5 ঘন্টা লেগেছে পৌঁছাতে। জলেশ্বর পেরিয়ে হালদিপোদা 17 কিমি কাসাপোলের দিকে , গেলেই বাগদা ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্প। যাওয়ার সাথে সাথেই স্বাগত জানানো হলো ঠান্ডা ডাব দিয়ে। ডাবের জল খেয়ে জরুরি ফর্ম পূরণ করে, সবার ভোটার কার্ডের জেরক্স জমা করে, tent এ জিনিস রেখে আমরা সমুদ্রের দিকে গেলাম।
আমাদের গাইড করে নিয়ে গেছিলেন বিকাশ দা। কিছুক্ষন সমুদ্রে হই হুল্লোর করে ফিরে লাঞ্চ করলাম ডাল,আলু ভাজা, ফুলকপির তরকারি, মাছের ঝোল দিয়ে। এরপর tent এ কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে, গরম চা আর তেলেভাজা খেয়ে বসে পরলাম campfire দেখতে । campfire এর সময়ে দাদারা চিকেন BBQ বানালেন । ১ কেজি ৪০০ টাকা, এটায় জন্য extra pay করতে হয়। সবাই মিলে উপভোগ করলাম খাওয়ারটা । রাত্রে গরম গরম রুটি আর চিকেন , কিছুক্ষন দোলনাই দুলে তারপর ঘুম । সকালে উঠেই সমুদ্রে ছুটে গেলাম ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ছুঁয়ে যাছিলো সবাইকে।
কিছু ফটো তুলে, অসংখ্য লাল কাঁকড়ার সাথ হুটোপটি করে camp এ ফিরলাম breakfast করতে । লুচি ঘুগনি চা, (এই অবধি 1200 টাকা per head) তারপর সবাই সমুদ্রে স্নান কোরে লাঞ্চ করলাম।এই লাঞ্চটার জন্য extra 200 টাকা per head দিতে হলো । সব লাগেজ নিয়ে কোয়েকটা ডাব কিনে নিয়ে আমরা বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরলাম । যা না বললেই হয় না তা হলো, 5 জন মেয়ে মিলে ট্র্যাভেল করলাম । only women tour ব্যাকপ্যাকার্স এর নিরাপত্তা অসাধারণ । ঘরোয়া পরিবেশ , camp এর কর্মীদের সহজ সরল ব্যবহার মন ছুঁয়ে গেল । tent গুলো সব sanitized করা ছিলো। স্যানিটাইজার ও ছিলো। ক্যাম্প এর বিকাশ দা, বাপি দা, আর আমাদের সব খুঁটিনাটি দেখার জান্য ছিলেন হোরি বাবু। যার কথা না বললে খুব অন্যায় হবে।
ব্যাকপ্যাকার্স এর অয়ন দা এরকম একটা সুন্দর গন্তব্যের সন্ধান দিয়েছিলেন। আমরা খুব enjoy করলাম .. ছোটো ট্রিপ এর জন্য জঙ্গল আর ঝাঁওবনে ঘেরা বগদা camp এর নিরিবিলি পরিবেশে আবার সুযোগ পেলেই যেতে চায় আমরা ।