মলয় ভট্টাচার্য : করনার দম বন্ধ বন্দি জীবনে একটু সবুজের ছোয়া নিতে ক-এক ঘন্টা ঘুরে এলাম আলিপুর চিড়িয়াখানা।শীত সেভাবে না পরলেও কচিকাচা ,ঠাকুমা দিদিমা সহ লোকজনের আগমন ভাল ই ।তবে লকডাউনের ফলে কিনা জানিনা , চারিদিকে অপরিচ্ছন্ন বা অবিন্যস্ত পরিবেশ শীতের চিড়িয়াখানার আগের রুপ যেন ম্লান।দুর দুরান্ত থেকে আসা দর্শকদের উৎসাহ ঠিক আগের মত ই।গর্জনরত বাঘের খাচা, বড় পরিবার সহ জিরাফের খাচা, সিমপান্জির দলের হৈ হুল্লর দেখতে ভির জমে যাচ্ছিল, দুরত্ব বিধি শিকেয়।তবে টিকিট কাউনটার পার করেই স্যানিটাইজার স্প্রে কারটেন বসান হয়েছে।
ঘাসের ওপর সতরন্চী বা কাগজ বিছিয়ে সপরিবারে খাওয়া দাওয়ার বন ভোজন চলছে ইতি উতি।অনেক বছর পর কিছু নতুন জীব চাখ্যুস করলাম, দখ্যিন আমেরিকার আনাকোন্ডা ,মস্ত ঠোট ওলা কীলার বিল পাখী,ম্যাকাও, ভারতীয় জংলী কুকুর বা ঢোল,মাদাগাসকারের সাদাকালো লেমুর বা লিমার, ভারতীয় রেটুকুলেট পাইথন (বিশ্বের দির্ঘ্যতম সাপ), মেছো ও বন বেড়াল ইত্যাদি।ভারতীয় রক পাইথন বা ময়াল সাপের বিশ পচিশটি কিলবিলে বাচ্চা দেখতে ভির।পরিবার ভাল ই বাড়িয়ে ফেলেছে জিরাফ, মায়ামৃগ বা বার্কিং ডিয়ার(মুন্টজ্যাক), মনিপুরি হড়িন।
এদিকে ঝিলের জলে পরিযায়ি পাখির সংখ্যা শুন্য।রাস্তাপারাপারের জন্য চলমান সিরি সহ ওভার ব্রীজ ভালো লাগল।মোটের ওপর ₹30/ টাকা দর্শনী দিয়ে সবুজের মাঝে যাযাবর মন ক এক ঘন্টা করনা ভুলে অচিন পাখির ডানায় ভেসে ভালৈ কাটল।