হাওড়া: রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্যের খতিয়ান রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরতে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ নামে নতুন একটি প্রচারাভিযানের সূচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সারা রাজ্য জুড়ে চার হাজারেরও বেশি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের এই সম্মিলিত সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন। আজ শুক্রবার ১১ডিসেম্বর রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই একটি করে মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। হাওড়াতেও মন্ত্রী অরূপ রায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লারা তাঁদের নিজ বিধানসভা এলাকায় এই কর্মসূচি নেন। এদিন মধ্য হাওড়া বিধানসভা এলাকার বিজয়ানন্দ পার্ক থেকে মল্লিক ফটক পর্যন্ত কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অরূপ রায়। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “বিজেপি একটা উশৃংখল পার্টি। বিজেপি কর্মীরা নিজেরা নিজেদের উপর হামলা করে হাইলাইটস হতে চাইছে। একটা ইস্যু তৈরি করতে চাইছে। বাংলার মানুষ এটা বিশ্বাস করেনা। একে সমর্থন করেনা।”
অন্যদিকে, ঘুসুড়ির নস্করপাড়া থেকে উত্তর হাওড়া বিধানসভার এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আমরা মানুষের হাতে পৌঁছে দেব। সেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লক্ষ্মীরতন বলেন, “আমরা চাই বাংলায় যেন কোনও সন্ত্রাস না হয়। কারও রক্ত যেন না ঝরে।” উল্লেখ্য, এই কর্মসূচি থেকেই পার্টির নেতৃত্ব পার্টির ১০ বছরের রিপোর্ট প্রকাশ করেন। আগামী ১০ দিন ধরে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩ থেকে ৫টি দলে ভাগ হয়ে পার্টি কর্মীরা একাধিক যাত্রা সংগঠিত করবেন। মোট ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে চার হাজার নেতৃবৃন্দ এই যাত্রাগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন। এই দলগুলো সারা রাজ্য জুড়ে মোট এক কোটি বাড়ি এবং প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। এই কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূল নেতৃত্ব বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড বিতরণ করবেন। এর পাশাপাশি পথসভা, স্থানীয় জনসভা, স্থানীয় দলীয় কর্মীদের সভা, এলাকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সম্মান জ্ঞাপন এবং এলাকার সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করবেন।এছাড়াও পূর্ব নির্ধারিত স্থানে বিশেষ সম্প্রদায়ের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হবে।