শুভঙ্কর সরকার : সেই দিন রাত্রের খাবার পর দুই বন্ধুর মাথায় একটা পোকা নাড়ল, যে কোথাও একটা ঘুরতে যেতে হবে যেই ভাবা, সেই কাজ; ঠিক হল গ্যাংটক ঘুরতে যাব। সেই অনুযায়ী যথারীতি প্রস্তুতি শুরু হল। কে কে ঘুরতে যাবে ?? এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হল। অবশেষে 11 জনের একটা গ্রুপ ঠিক হল। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমাদের যাত্রা শুরু হল।
প্রথম দিন: ব্রহ্মপুত্র মেল এ করে সকালে NJP নামার পর, ছোট গাড়িতে আমাদের যাত্রা শুরু হলো গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে। গ্যাংটক পৌঁছানোর পথে মাঝপথে আমরা সকালের প্রাতরাশ করলাম। গ্যাংটক-এ এসে পৌছালাম প্রায় দুপুর বারোটার দিকে।
দ্বিতীয় দিন: সকালে আমাদের গন্তব্য লাচেন। পথিমধ্যে যাত্রাপথে থাঙ্গু ভ্যালি ও পাশে লাচেন নদী এর দর্শন করলাম। বিকেলের দিকে লাচেন পৌছালাম।
তৃতীয় দিন: সকালে লাচেন থেকে ভারতের সর্বোচ্চ লেক যাওয়া, 17800 ফুট উঁচুতে গুরুদংমার লেক লেকটা দেখে মনে হলো, এটা যেন একটা অন্য পৃথিবী, এত সুন্দর দেখতে হতে পারে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
পরে লেক থেকে ফিরে, পৃথিবীর উচ্চতম (15000 ফুট) ক্যাফেতে আড্ডা দেওয়া, সে এক অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা। পরে সেইদিনই বিকেলের দিকে লাচেন ফিরে আমাদের যাত্রা লাচুং এর উদ্দেশ্যে।
চতুর্থ দিন: (লাচুং) হঠাৎ একটা বন্ধু ভোর চারটের সময়, হোটেলে আমার দরজায় টোকা দিয়ে বলল বাইরে snow falls হচ্ছে আমি তাড়াতাড়ি হোটেলের বারান্দায় এসে দেখলাম পেঁজা তুলোর মতন বরফ পড়ছে। সে এক অপার্থিব অভিজ্ঞতা আমার কাছে। এই দিনই আমাদের যাওয়ার কথা ছিল জিরো পয়েন্ট ইয়ামথাং ভ্যালি।
কিন্তু এই অযাচিত তুষার পাতের জন্য, ওখানে যাবার অনুমতি মিলল না। লাচুং এর আশেপাশে যাওয়ার অনুমতি ছিল। তাই সেইদিনটা সকালে, লাচুং এর আশেপাশেই আমরা শ্বেত-শুভ্র টাটকা বরফ দেখে আর বরফ নিয়ে খেলেই কাটিয়ে দিলাম। পরে দুপুরে হোটেলে ফিরে খেয়ে-দেয়ে, অবশেষে গ্যাংটকের উদ্দেশ্য শুরু হল আমাদের যাত্রা।
পঞ্চমদিন: এদিন সকালটা গ্যাংটকেই কেটে গেল। দুপুরের দিকে গ্যাংটক ছেড়ে অবশেষে ফেরার পালা NJP এর উদ্দেশ্যে
সঙ্গে কিছু ছবি দিলাম, আশাকরি ভাল লাগবে।
চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন, চার- পাঁচ দিনের ছুটিতে উত্তর সিকিমের একাংশ থেকে।।
হাজার হোক বাঙালি তো ভ্রমন প্রিয় জাতি, তাই বলছি একবার বেরিয়েই পড়ুন না । দেখবেন মন প্রাণ দুটোই ভাল থাকবে।