বাড়ির সামনে বাইক সারানোর গ্যারেজ করতে পরিবারের আপত্তি, দুষ্কৃতী হামলায় জখম ‘ক্যানসার’ আক্রান্ত ব্যক্তি


সোমবার,০৭/১২/২০২০
675

হাওড়া: বাড়ির সামনে বাইক সারানোর গ্যারেজ করা যাবে না বলে আপত্তি জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এই কারণে ‘ক্যানসার’ আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করে পালাল দুষ্কৃতিরা। শুধু তাই নয়, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরের বৈষ্ণব মল্লিক লেনে। অভিযোগ, দুষ্কৃতিরা এসে হুমকি দিতে থাকে। দুষ্কৃতিদের মারে জখম হন সুশান্ত রানা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে হেনস্থা হন স্ত্রী অনন্যা। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ছবি। এদিকে, সুশান্তবাবুকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অনন্যাদেবী বলেন, বাড়ির সামনে দোকান ঘর বানিয়ে গাড়ির গ্যারেজ করতে এসেছিল ওরা। আমরা বলেছিলাম বাড়ির দোকান ঘর বসানো যাবে না। এরপরই আমার স্বামীকে গলা টিপে ধরা হয়। চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়। আমি স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও নিগ্রহ করা হয়। ওরা গালিগালাজ থেকে শুরু করে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। ইট ছুঁড়তে শুরু করে। ভিডিও গেম পার্লারের গেটে লাথি মারে।

বিজ্ঞাপন

থানায় অভিযোগ জানানো হচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানান, এই এলাকায় সন্ধ্যে হলেই বহিরাগতদের আড্ডা শুরু হয়। নেশার আসর বসে। শনিবার সন্ধ্যেবেলা এই ঘটনা ঘটে গেল। আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত। এই ঘটনার পর নিগৃহীতের পরিয়ারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অনন্যা রানা বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজন ছেলে কথা বলার নাম করে আমার ক্যান্সার আক্রান্ত অসুস্থ স্বামীকে ডাকেন। আমাদের সাইবার কাফের ব্যবসা। স্বামীর অসুস্থতার কারণে আমিই কাফেটি দেখভাল করি। স্বামী বাইরে আসলে ছেলেগুলো জানায় আমাদের বাড়ির নিচে বাইক সারানোর দোকান করা হবে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন আমার স্বামী। শুধু আমার স্বামীই নয় এলাকার কয়েকজনও এর প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করায় আমার স্বামী সুশান্ত রানাকে তাঁরা বেধড়ক মারধর শুরু করে। ঘুসি, কিল, চড়, লাথি কিছুই বাকি রাখে নি দুষ্কৃতিরা। স্বামীকে ছাড়াতে গিয়ে তিনিও দুষ্কৃতিদের হাতে তিনিও মার খান বলে অভিযোগ অনন্যাদেবীর। গুরুতর আহত অবস্থায় সুশান্তবাবুকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট